বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দ বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ

এনএফবি, কোচবিহারঃ

করোনা পরিস্থিতির পর দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ হয়ে থাকা স্কুল গুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী আর্থিক বরাদ্দ দিলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেরই শিক্ষা সেলের কোচবিহার জেলা সভাপতি সুব্রত নাহা সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ ছিল। এরমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে বহু স্কুলের পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়েছে। আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী এর জন্য আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু সেই বরাদ্দ আসার পর সব স্কুলে সমান ভাবে কাজ হচ্ছে না। টেন্ডার কমিটিতে এসআইদের থাকার কথা থাকলেও আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি কোন এসআইকে টেন্ডার কমিটির বৈঠকে ডাকা হয় নি। কিছু স্কুলে কাজ শুরু হলেও ঠিকাদাররা অনেক বেশী লস দিয়ে কাজ ধরেছেন বলে জানিয়ে সব কাজ করতে চাইছেন না। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে পরিকাঠামো গঠনের জন্য যে আর্থিক বরাদ্দ দিয়েছেন, সেই কাজ যাতে সঠিক ভাবে করা হয়। এর জন্য প্রয়োজনে আমরা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে আবেদন জানাবো।”


শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা শিক্ষা সেলের সভাপতি আরও অভিযোগ করে জানিয়েছেন, স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার জন্য যে বাসন পত্র ব্যবহার করা হত, গত দুবছর স্কুল বন্ধ থাকার জন্য সেই বাসনপত্র ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই ব্লক গুলো থেকে গ্রামীণ এলাকার প্রত্যেক স্কুলের একাউন্টে ১০ হাজার টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে নতুন করে বাসনপত্র কেনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু পুর এলাকার স্কুল গুলো মহকুমা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনও পর্যন্ত শহরের কোন প্রাথমিক স্কুলে আর্থিক বরাদ্দ দিয়ে মিড ডে মিলের বাসনপত্র কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন সুব্রত বাবু। তিনি বলেন, “খুব শীঘ্র আমরা এনিয়ে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে কথা বলে শহরের স্কুল গুলোতে যাতে দ্রুততার সাথে বাসনপত্র কেনার আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন জানাব।”

পাশপাশি স্কুল শিক্ষা দফতর মানবিক ভাবে কিছু শিক্ষক বদলি করায় শিক্ষা দফতরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুব্রত বাবু। ক্যান্সার আক্রান্ত রফিক মণ্ডল নামে দিনহাটার এক শিক্ষকের চাকরি হওয়ার এক বছরের মধ্যে বদলি করার ব্যবস্থা করে দেয় শিক্ষা দফতর। ফলে তিনি নিজের চিকিৎসা চালানোর পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে চাকরিও করতে পারছেন বলে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুব্রত বাবু।