মোহনবাগানে বসেই এটিকে নাম তোলার ডাক কুনালের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

তৃণমূল মুখপত্র কুনাল ঘোষ মোহনবাগানের সহ সভাপতি হওয়ার পরে অনেকেই রাজনৈতিক গন্ধ পেতে শুরু করেছেন। সারদা মামলায় জেল খাটা কুনাল কেন মোহনবাগানে, প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়! এবার কুনাল নিজেই নামলেন আসরে। এটিকে হটাও স্লোগান তুলে মোহনবাগানের নতুন সহ সভাপতি বাগানের রাজনীতি করণের বাখ্যাও দিয়ে গেলেন। এদিন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ও ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুনাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করলেন।

এদিন গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে কুনাল জানাচ্ছেন, “অবিলম্বে আমি মোহনবাগানের নামের আগে থেকে atk কে সরানোর দাবি জানাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি এটা হবে তত তাড়াতাড়ি ভালো। ক্লাবের ইতিহাসের সঙ্গে কোনো রকম সমঝোতা করা হোক সেটা চাই না।” মোহনবাগান ক্লাবে তৃণমূল দলের রাজনীতি করণ ইস্যুতে বাগানের নতুন সহ সভাপতি জানাচ্ছেন, “আমি হটাৎ করে মঙ্গলগ্রহ থেকে আসিনি। পাঁচ বছর থেকে আমি মোহনবাগান সমর্থক। পনেরো বছর ধরে ক্লাব মেম্বার। দশ বছর আগে যখন মোহনবাগান দল নির্বাসনের মুখে পড়ে তখন আমি মানস দা, বিদেশ দা (মানস ভট্টাচাৰ্য, বিদেশ বসু ) সমর্থকদের সই সংগ্রহ করে ফেডারেশনে গিয়ে কুশল দাসের সঙ্গে বৈঠক করি আর সেই বৈঠকে কাজ হয়। শাস্তি মকুব হয় ক্লাবের। চার বছর আগে ক্লাবের নির্বাচনে সচিব পদে আবেদন করি। টেকনিকাল কারণে সেটা বাতিল হয়। আর যারা ক্লাবে রাজনীতির কথা বলছেন তিন বছর আগে তো বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দুই প্রধান কর্তাদের নিয়ে isl খেলানোর জন্য বৈঠক করল। ছবি তুললো কই আমাদের দল তো তখন রাজনীতির কথা বলেনি। আমাদের দল বাংলা ফুটবলের পাশে আছে মোহনবাগান ইনভেস্টর পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল পাইনি আমাদের সরকার পাশে আছে।”

বাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত জানালেন,” একটা লম্বা পদ্ধতি এটিকে নাম সরানো। আমরা চাই যে কোনো নাম থাকুক শুধু মোহনবাগানের আগে এটিকে নামটা না থাকুক । সঞ্জীব গোয়েঙ্কা মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগ বোঝেন উনি নিশ্চই বিষয়টা ভেবে দেখবেন। Atk নাম তোলার ব্যবস্থা নেবেন।” ফুটবল সচিব স্বপন বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য,”মোহনবাগান ক্লাব নিজের পথে স্বমহিমায় চলছে। কিছু ছোট সমস্যা আছে আমরা সেটা মিটিয়ে নেব। আমাদের ক্লাবে আগেও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত রাজনৈতিক ব্যক্তি সহ সভাপতি ছিলেন তখনও কোনো সমস্যা হয়নি এবারও হবে না।”