এনএফবি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
সর্বভারতীয় ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৯৪ র্যাঙ্ক করে মেদিনীপুরের নাম উজ্জ্বল করল বার্জ টাউনের ছাত্র ইন্দ্রাশিস দত্ত। বাবা গুরুপদ দত্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, মা কৃষ্ণা দত্ত মেদিনীপুর মিশন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
জানা গেছে, দম্পতি দুই ছেলেকে সুপ্রিতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখতেন ৷ বড়ছেলে চিকিৎসক, ছোট ছেলে অর্থাৎ ইন্দ্রাশিস ও চিকিৎসক হওয়ার জন্য জয়েন্টে ৩৫ র্যাঙ্ক করে ডাক্তারি পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু দাদা এবং তার বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল ছেলে অন্য পেশা বেছে নিক কেরিয়ার হিসেবে। ছেলেকে ডাক্তারির পড়াশোনা থেকে সরিয়ে এনে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে উদ্বুদ্ধ করেন বাবা মা ও দাদা। সেইমতো ইউপিএসসি-র প্রস্তুতি শুরু করে ইন্দ্রাশিস। অবশেষে সাফল্য এল তার ঝুলিতে। সর্ব ভারতীয় স্তরে ৯৪ র্যাঙ্ক করে তাক লাগিয়ে দিল ইন্দ্রাশিস।
মঙ্গলবার মেদিনীপুরের বাড়িতে এক সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রাশিস জানায়, তার লক্ষ্য আইএএস হওয়া। যাতে মাথা উঁচু করে সমাজের জন্য কিছু করতে পারে সে। তবে ইউপিএসসি- র জন্য খুব বেশি পড়াশোনার চাপ ছিল না তার। সারাদিনে লক্ষ্য স্থির করে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পড়াশোনা করতো সে এবং দিনের শেষে সেই লক্ষ্য পূরণ করতো। আর এভাবেই সাফল্যের চাবিকাঠি এল তার হাতে। তবে ইন্দ্রাশিস মনে করে, বাংলার ছেলে মেয়েদের মধ্যেও সম প্রতিভা রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহারের ছেলে মেয়েদের মত। শুধু সঠিক সচেতনতার অভাবে বাংলার ছেলেমেয়েদের মধ্যে সিভিল সার্ভিস নিয়ে পড়াশোনার আগ্রহ দেখা যায় না। তাই সঠিক সচেতনতা ও গাইড করলে বাংলার ছেলেমেয়েরাও আইএএস, আইপিএস অনায়াসে হতে পারবে।
ছোটছেলের অভাবনীয় সাফল্যে বাবা গুরুপদ দত্ত বলেন, মেদিনীপুর থেকে সিভিস সার্ভিসে সাম্প্রতিক কালে কেউ র্যাঙ্ক করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। তাই এটা আমাদের মেদিনীপুরবাসীর কাছে গর্বের বিষয়।
মা কৃষ্ণা দত্ত বলেন, ছেলেকে ডাক্তারির পড়াশোনা থেকে সরিয়ে এনে ছিলাম, তাই খুব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হয়েছে। ছেলে যদি রেজাল্ট না ভালো করে, তাহলে খুবই কষ্ট হত। কিন্তু ছেলে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমরা খুবই খুশি।