এনএফবি, মহিষাদলঃ
জলসার জন্য জ্বালানি কাঠের আবেদন করতে গিয়ে প্রধানের হাতে ঝাঁটার বাড়ি খেল যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এনএফবি) এই ঘটনা ঘটেছে মহিষাদলের বেতকুন্ডু এলাকায়।
জানা গেছে, আগামী বুধবার মহিষাদল ব্লকের বেতকুন্ডুতে মুসলিম সম্প্রদায়ের জলসার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জলসার জন্য কিছু জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন। স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মধুমিতা দাস হালদারের কাছে আবেদন নিয়ে যায় স্থানীয় যুবক জালালউদ্দীন-সহ কয়েকজন। এই আবেদন নিয়ে যেতেই তাদের কুৎসিত ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি ঝাঁটা নিয়ে মারধর করার ছবিও ধরা পড়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীরা যেমন নিন্দা জানাচ্ছেন তেমনি দলের নেতৃত্বরাও নিন্দা জানাচ্ছেন।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন ব্যানার্জি জানান, তৃণমূলের এটাই কালচার। এই দলের কাছ থেকে এই সবই পাওয়া যায়। যিনি সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, সাধারণ মানুষের কথা শোনাই তার কাজ। কিন্তু তা না করে তাদের দলের কর্মীদের উপর এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। যদিও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মধুমিতা দাস হালদার বলেন, ওই দুই যুবক তার স্নানের ভিডিও করায় তিনি এই ধরনের আচরন করেছেন।
মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুদর্শন মাইতি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে আগামীদিনে।
রবিবার বেতকুন্ডু গ্রামপঞ্চায়েতে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তখন পাশের গ্রাম নাটশাল- ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি করছেন মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী, ব্লক সভাপতি সুদর্শন মাইতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তৃণমূলের একজন জনপ্রতিনিধির এই ধরনের আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে।
এর আগেও একাধিকবার প্রধান মধুমিতা দাস হালদারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল বলে জানা গেছে। তার আবার এই ধরনের ঘটনায় নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।