ফিচাররাজ্যলেটেস্ট

হাসপাতালের বিছানায় চিকিৎসাধীন পরিযায়ী দম্পতি, বাড়িতে অপেক্ষায় নাবালক সন্তান

এনএফবি, মালদাঃ

অভাবের তাড়নায় রুজি রুটির টানে মালদা থেকে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিল পুরাতন মালদার দম্পতি। প্রায় দেড় মাস পর বেঙ্গালুরু থেকে কাজ সেরে চেন্নাই স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরার পথে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে গুরুতর আহত হন দুজনেই। বর্তমানে তারা ওড়িশার সারোলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছাতেই ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি ওই দম্পতির ছেলে বালেশ্বরের উদ্দেশ্যে গতকালের রওনা দেয় মা বাবাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য।

এ দিকে এলাকার ছেলে-বৌ দুর্ঘটনার কবলে একথা জানার পর থেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ সকলেই। সুস্থ হয়ে দু’জনেই ফিরুক সেই আশায় তাকিয়ে বাবা-মা ও আত্মীয় পরিজন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভাবের সংসারের জন্য ভিন রাজ্যে স্বামী স্ত্রী মিলে কাজে পাড়ি দিয়েছিল। তবে আকস্মিক ভাবে এই দুর্ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না বাড়ির কেউ। জানা গিয়েছে, আহতদের নাম পরিতোষ মন্ডল (৩৩) এবং সেবিকা মন্ডল (২৫)। পুরাতন মালদা ব্লকের মহিষবাথানী অঞ্চলের খুনিবাথান বলরামপুর এলাকার বাসিন্দা তারা। বাড়িতে রয়েছে দুই সন্তান ৮ বছরের মেয়ে এবং ৭ বছরের ছেলে। পাশাপাশি বাবা-মা এবং দাদা বৌদি।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, দুই সন্তানকে বাড়িতে রেখে গত দেড় মাস আগে বেঙ্গালুরুতে শ্রমিকের কাজে যায়। তবে বাড়ি ফেরার পথে ফোনে কথা হয়েছিল।
তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য মালদা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য করে লোক পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসন তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে মালদা জেলার মোট ২৫ জন যাত্রী ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তার মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৩ জন বাড়ি ফিরে এসেছে, ২ জন নিখোঁজ রয়েছে এবং বাকি ১৯ জন গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তারমধ্যে পুরাতন মালদার এই দুইজন স্বামী-স্ত্রী রয়েছে। তবে যাত্রী সংখ্যা পরে আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং মালদা টাউন স্টেশনে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে।