অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
বদলা নেওয়া হল না। গত আইএসএল ফাইনাল ও চলতি আইএসএলে পাঁচ গোল খাওয়া মুম্বই এফসির বিরুদ্ধে ১- ১ ব্যবধানে ড্র করল এটিকে মোহনবাগান। ডার্বি জয়ের পরে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার গোয়ার ফতরোদা স্টেডিয়ামে অন্য ছক নিয়ে নামে মোহনবাগান। ডার্বির নায়ক কিয়ান নিশারিকে এদিন প্রথম একাদশে রাখেননি কোচ জুয়ান ফেরান্দ। চোটের জন্য মুম্বই ম্যাচও সাইডলাইনে বসে কাটালেন রয় কৃষ্ণ। সবুজ মেরুনের প্রাক্তন কোচ আন্টেনিও লোপেজ হাবাস যেমন প্রথমে ডিফেন্স ও পরে আক্রমণে জোর দিতেন, কিন্তু কোচ জুয়ান প্রথম থেকেই আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলেন। আর সেই ফলও পাওয়া গেল ম্যাচের ৯ মিনিটে। বাগান অ্যাটাক ও রক্ষণের ভুলে গোল খেল মুম্বই। জাহুর পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে উইলিয়ামসকে পাস হুগো বুমোসের। বল জালে জড়ালেন বুমোস। লড়াই-এ ফেরার চেষ্টা করছে মুম্বই। তবে এরপর হুগো বৌমাস হলুদ কার্ড দেখলেন। তবে গোল করেও সেটা ধরে রাখতে পারলো না। প্রীতমের মাথায় লেগে গোল হজম করল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের ২৪ মিনিটে খেলার ফল ১-১
আরও পড়ুনঃ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত
মাঠে নেমেই আক্রমণের ঝাঁঝ তোলে মুম্বই। অমরিন্দরের পরীক্ষা নিল মুম্বই আক্রমণ। একইসঙ্গে এটিকে মোহনবাগানও তাঁদের আক্রমণ শক্ত করে। প্রথমার্ধের শেষ সময়ে ডেভিড উইলিয়ামসের হেড বক্সে লেগে ফিরে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগানের থেকে মুম্বই বেশি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাগান বক্সে খালি পেয়েও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় তারা। তবে ম্যাচ যত এগোয় প্রথমার্ধ থেকে অনেক বেশি ডিফেন্সিভ হয়ে যায় দুই দলেরই ফুটবল। ম্যাচ শেষের দশ মিনিট আগে মুম্বই ফ্রি কিক পেয়ে গোল করতে পারেনি আর মুম্বই বক্স ফাঁকা পেয়েও প্রবীর দাস গোল করতে সক্ষম হননি। ম্যাচ শেষের মাত্র পাঁচ মিনিট আগে কিয়ানকে নামানো। যেখানে দল গোল করতে ব্যর্থ সেখানে জুয়ানের স্ট্যাটাজি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খেলার শেষ সময়ে গোলের খাতা খোলেনি। ড্র করেই মাঠ ছাড়লো দুই দল। যদিও ড্র করেও ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় শেষ চারে উঠে এলো সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
আরও পড়ুনঃ বিরাটের শততম টেস্ট গোলাপি বলে