বছর শেষের আগেই নববর্ষের স্পেশাল ভুরিভোজ

এনএফবি, কলকাতাঃ

কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। উৎসব মানেই বাঙালির ভুরিভোজ। ১২ এপ্রিল থেকে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাক্রোপলিস মলে শুরু হল ”নববর্ষের ভুরি ভোজ” খাদ্য উৎসব।

প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই খাদ্য উৎসব। রকমারি খাবার চেখে দেখতে হলে একবার ঢু মারতেই হবে অ্যাক্রোপলিস মলে।

এ দিন এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট গায়ক শ্রী সৌমিত্র রায় এবং অ্যাক্রোপলিস মলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী কে ভিজয়ন।

নববর্ষের ভুরিভোজের এই উৎসবে রয়েছে অভিনেতা এবং খাদ্য ব্যবসায়ী সৌরভ দাসের নিজস্ব ব্র‍্যান্ড ‘হদোলস’। এছাড়া রয়েছে পিঠে বিলাসী, ভোজন বিলাসী, টার্কিস- ইয়ানো, মিত্র ক্যাফে, নিউ ভারত সুইটস, তেমারিন্ড, রায় প্যান প্যালেস, দিঘা ফিশ কর্পোরেশন, বাংলার দই।

মেনুর মধ্যে থাকছে, মটন এবং চিকেন বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস এবং কলকাতার চিকেন কষা, ভেটকি পাতুরি থেকে শুরু করে বাঙালির প্রিয় ইলিশ মাছের কচুরি এবং ভেটকি মাছের নানান রকমের মেনু। এছাড়া থাকছে সবার প্রিয় নলেন গুড়ের আইসক্রিম, আইসক্রিম লস্যি এবং ডাবের পায়েশ। খাবারের শেষে রয়েছে পানের বিভিন্ন রকমারি আইটেম- স্মোক পান, ফায়ার পান, চকলেট পান ইত্যাদি।

আনুষ্ঠানে এসে গায়ক সৌমিত্র রায় বলেন,”নববর্ষ মানেই খাওয়ার দাওয়া, গান, আড্ডা, মজা। আমি বরাবরই খাদ্যরসিক। আর অ্যাক্রোপলিস মল আমার অন্যতম প্রিয় একটি জায়গা। আমি এর আগেও এদের বিভিন্ন খাদ্য উৎসবে অতিথি হয়ে এসেছি। এখানকার নানা রকমের খাদ্য উৎসব হয়ে থাকে, যা অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লোভনীয়। এছাড়া এখানকার স্টল গুলির খাবার অত্যন্ত সুস্বাদু, যা আগত অতিথি এবং ভোজনরসিকদের মন কাড়বে।”

অ্যাক্রোপলিস মলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী কে ভিজয়ন বলেন,
“অ্যাক্রোপলিস মল ইতিমধ্যেই অতিথি এবং পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে খ্যাতি অর্জন করেছে। আমরা সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য উৎসবের আয়োজন করে থাকি, যা সকলের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই বছর আমরা বাঙালির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব উদযাপনের অংশ হতে বাংলা নববর্ষের খাদ্য উৎসব শুরু করেছি। আমরা সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের অতিথিদের জন্য বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করে আসছি। চলতি বছরে কলকাতার জনপ্রিয় বাংলা নববর্ষের ভুরিভোজকে নিয়ে এই খাদ্য উৎসবের আয়োজন করেছি। আশা করি ভোজনরসিকদের এই উৎসব ভালো লাগবে।”