বরাদ্দ নেই, বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের কাজ

এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

চলতি আর্থিক বছরে কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। তাই বন্ধ হয়ে গেল মহিষাদলে মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ। গত ৫ ই এপ্রিল কাজ বন্ধের এই নির্দেশিকা এসে পৌঁছয় ঠিকাদার সংস্থার কাছে। সেই নির্দেশিকায় কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজ না করার কথাও বলা হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়নি কোনও অর্থ। উচ্চশিক্ষা দফতরের স্পেশাল সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধের কথা জানান তমলুক ডিভিশনের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। সেই চিঠির কপি দেওয়া হয়েছে নির্মাণ সংস্থাকেও। পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর এই কাজের বরাত পায়। ওই ঠিকাদার সংস্থা। করোনার ঝড় কাটিয়ে কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। আট তলা শিক্ষা ভবন নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছিল ১০ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল। মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীরের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তারা। ক্যাম্পাসের বিল্ডিং-এর জন্য ৮৭৪টি পাইলিং করা হচ্ছিল। অধিকাংশ পাইলিং-এর কাজ শেষের পথে। বাকি রয়েছে কয়েকটি পাইলিং। এরই মাঝে নির্দেশ আসায় সমস্যায় ঠিকাদার সংস্থা। নির্মাণ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষার আগে পাইলিং এর কাজ শেষ করতে পারলে ভাল হত। তাহলে বর্ষার মধ্যেও অন্য কাজ করা যেত। ঠিকাদারি সংস্থার ম্যানেজার আশিস বসু বলেন,“কাজে যন্ত্রপাতির ক্ষতি হবে।”স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “কাজ বন্ধ রয়েছে শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জন্য অর্থ বরাদ্দ যাতে ধারাবাহিক ভাবে হয় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেব।” কাজ বন্ধ থাকা নিয়ে জেলাশাসক পুর্নেন্দু কুমার মাঝি বলেন, “কাজ ‘স্লো ডাউন’ করতে বলা হয়েছে। ফাও এলেই কাজ হবে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ বন্ধের বিষয়ে উপাচার্য সুব্রত কুমার কুমার দে কে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বিশ্ব বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন চলছে মহিষাদল রাজ কলেজের নতুন ভবনের তিনটি তলায়। মহিষাদল রাজ কলেজের এক শিক্ষক জানান, কলেজের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় থাকায়, জায়গা সঙ্কটে পড়ছে পড়ুয়ারা। তা ছাড়া কলেজের শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা। নিয়মিত কলেজে ক্লাসও হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। উপাচার্য ছাড়া অন্য কোন পদেও নিয়োগ নেই।

তিলক চক্রবর্তী
আশিস বসু