এক পরিবার এক পদ- কোচবিহারে ঘোষণা তৃণমূল জেলা সভাপতির

এনএফবি,কোচবিহারঃ

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ তৃণমূলে। এই নয়া তৃণমূলে সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও তাঁদের পরিবারের লোকরা জন প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। আবার উল্টো করেও বলা যেতে পারে কোন জনপ্রতিনিধি বা তাঁদের পরিবারের লোকরা সাংগঠনিক কোন দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। আজ কোচবিহারে ব্লক ও জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এর ফলে কোচবিহারে ব্লক ও অঞ্চল স্তরে জনপ্রতিনিধি এবং সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন নেতৃত্বের উপরে কোপ পড়তে পারে বলে এদিন জেলা নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত জেলার সমস্ত ব্লকের তালিকা তৈরি না হওয়ায় এদিন কাদের কাদের পদ খোয়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানায় নি কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও দলীয় এই সিদ্ধান্ত মাথায় রাখা হবে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন তৃণমূল কংগ্রেসের কথা উল্লেখ করেছেন। কেমন হবে সেই নতুন তৃণমূল কংগ্রেস, সেটারও একটা ব্যাখ্যা সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠিয়ে শুধু ব্যাক্তি এক পদ নয়, বরং এক পরিবার এক পদ নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কিন্তু তৃণমূলের রাজনীতিতে অনেক প্রভাবশালী পরিবার একাধিক পদ আগলে রেখে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা উপভোগ করে গিয়েছেন। এখনও কোচবিহার জেলায় বিধায়ক স্তরের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুরসভা স্তরে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিক দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন। কোথাও একই পরিবারে একাধিক জনপ্রতিনিধি রয়েছে। কোথাও স্ত্রী গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লকের সর্বচ্চ দায়িত্ব পালন করছেন আবার স্বামী সংগঠনের মাথায় বসে আছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভাবে পাল্টাতে তৃণমূল শেষ পর্যন্ত সফল হয় না কোন কোন ক্ষেত্রে আপোষের রাস্তায় হাটে এটাই এখন দেখার।