এনএফবি, বালুরঘাটঃ
মেডিক্যাল কোন বৈধ লাইসেন্স ছাড়া এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা রোগীর চিকিৎসা করার দরুন ওই রোগীর প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ উঠল এক গ্রামীণ হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
ওই রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগ পতিরাম থানার পাগলীগঞ্জে ওই সঞ্জয় রায় নামে হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে তাদের বাড়ির এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা চিকিৎসা করাতে গেলে সে তাদের বারণ সত্বেও রোগীর এবর্শন করায় ৷ পাশাপাশি তাদের এটাও আশ্বাস দেয় যদি খারাপ কিছু হয় রোগীর তার জন্য সে তার যাবতীয় চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পর তারা সেখানে রোগীর চিকিৎসা করানোর পর বাড়িতে ফিরে রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয় । হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীকে কলকাতা রেফার করে দিলে, তারা ওই হাতুড়ে চিকিৎসক সঞ্জয় রায়ের কাছে এসে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয় ভার বাবদ টাকা ফেরত চাইলে তিনি তা দিতে প্রথমে অস্বীকার করে। পরে সে বালুরঘাটে তাদের নিয়ে এসে টাকার ব্যবস্থা করে দেবে বললেও বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ডে নেমে নানা টালবাহানা শুরু করে। এদিকে রোগীকে তারা ধারদেনা করে এম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য টাকার ধার শোধ করার পাশাপাশি রোগীর চিকিৎসা কি ভাবে করব তা ভেবে পাচ্ছিনা বলে অভিযোগ জানান। যদিও ওই হাতুড়ে চিকিৎসক সঞ্জয় রায় বিষয় টি স্বীকার করলেও তিনি তাদের টাকা দেবার জন্য বালুরঘাটে নিয়ে এসেছে বলে দাবি করেন।
এদিকে ভর দুপুরে বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ডে এই দুই দলের চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রচুর লোকজন জমে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ। সব শুনে দুই দলকেই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।