এনএফবি,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ফকিরগঞ্জ এলাকায় এক আদিবাসী গৃহবধূর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গৃহবধূর খুনে তাঁর সৎ ভাইকে আটক করে পুলিশ। ওই গৃহবধূর সৎকারের জন্য পুলিশ সৎ ভাইকে ফকিরগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে এলে আটক ব্যক্তি তার পাড়া প্রতিবেশীর কাছে খুনের কথা অস্বীকার করে বলে সূত্রের খবর। এরপরেই সৎকার করতে আসা জনগণ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এবং তারা জানায় যে আটক ব্যক্তিকে বিনা দোষে ফাঁসাচ্ছে পুলিশ। সেই কারণেই ফকিরগঞ্জ এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেছে ওই মৃতার প্রতিবেশীরা বলে জানা গেছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
অপরদিকে আদিবাসী গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ইতিমধ্যেই টুইট করে দাবি করেছিলেন এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই টুইটের পরেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। সকাল থেকেই ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উল্টোদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর সফর সূচি পরিবর্তন করেন। সিদ্ধান্ত নেন তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্র কুমারগঞ্জ ফিরে আসার এবং ওই গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার। ফকিরগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে র্যাফ। রয়েছেন জেলা পুলিশ আধিকারিকরা। যেকোনো মুহূর্তে বিজেপি রাজ্য সভাপতির এসে পৌঁছানোর কথা।
আদিবাসী মহিলার ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ গ্রামে এসে পৌঁছালে তখন উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক এবং আদিবাসী সংগঠনের নেতারা। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তবে ওই গৃহবধূ খুন হয়েছে সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত সকলেই। কিন্তু ধর্ষণের যে তথ্য বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি। মৃতদেহ সৎকারের কাজ শুরু হয়েছে গ্রাম সংলগ্ন আত্রাই নদীর ঘাটে।
যদিও পুলিশ সুপার রাহুল দে জানান, মূল আসামি মৃতার সৎ ভাই। দেনা পাওনার সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, পুলিশ এই ঘটনায় রক্ত মাখা একটি জামা উদ্ধার করে এবং একটি পাথর উদ্ধার করে। যা দিয়ে ওই মৃতা গৃহবধূকে আঘাত করা হয়। রাহুল দে আরও জানান এখানে ধর্ষণের কোনো রকমের প্রমাণ পাওয়া যায়নি ময়নাতদন্ত থেকে।