রাজ্যলেটেস্ট

প্রতিবাদী শিক্ষকের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ডেবরায়-অবরোধ, অগ্নিসংযোগ

এনএফবি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

বেপরোয়া বাইক চালানোর প্রতিবাদে সেনা জওয়ানের বাবা তথা শিক্ষকের মৃত্যু। এই ঘটনার জেরে রাস্তা অবরোধ ও অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে ও আগুন লাগিয়ে দেয় আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডেবরায়।

জানা গেছে, এই শিক্ষক ছিলেন এক সেনা জওয়ানের বাবা, লক্ষীকান্ত টুডু। গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যা নাগাদ বাড়িতেই ছিলেন। সেই সময় কয়েকজন বাইক চালকের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং তিনি সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তারপরই সেই অভিযুক্ত বাইক চালকরা তার বাড়িতে আসে এবং বচসা হয়। তারা মারধর করে ওই শিক্ষককে।

নিজস্ব চিত্র

এরপরই তাকে প্রথমে ডেবরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পরে মেদিনীপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যে নাগাদ মারা যায় ওই শিক্ষক।
এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযুক্তদের ঘর ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে এলাকার মানুষ। তবে আদিবাসী মহল থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। তারই রেশ হিসেবে এই দিন ডেবরার জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে দেয় তারা। যদিও এ ঘটনার পরই নড়ে চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন।

অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কিনা বা কি কি কারণে ঘটনা ঘটেছিল তা সে বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বুধবার সকালে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় মৃতের।

সূত্রের খবর, আক্রান্তের ছেলে রাজিব টুডু জয়সালমারে সেনা জওয়ান হিসেবে কর্মরত। চলতি মাসের ১২ তারিখ ৩১ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিল সে। ঘটনার সময় সে পাশের গ্রামে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল।
আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তারা আরো বলেন এই ঘটনায় যত জন দোষী ছিল সবাইকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দিতে হবে। না হলে আন্দোলন আরো বৃহত্তর হবে।
অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকা জুড়ে রয়েছে চাপা উত্তেজনা।