এনএফবি, কোচবিহারঃ
গ্রেটার নেতা অনন্ত রায় মহারাজের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিলেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সাথে ছিলেন কোচবিহারের জেলা শাসক পবন কাদিয়ান। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শাসককে সাথে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বাবু অনন্ত মহারাজের কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বরগিলা এলাকার বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে অনন্ত রায়ের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা, ফুল, মিষ্টি শাল উপহার তুলে দেন তাঁরা। কেক কেটে মহারাজকে খাওয়াতেও দেখা যায়।
পরে রবীন্দ্রনাথ বাবু সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনন্ত মহারাজের জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তার সাথে ফুল মিষ্টি, শাল পাঠিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় অনন্ত মহারাজের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বার্তাই এদিন আমরা পৌঁছে দিয়েছি। উনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।”গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে গ্রেটার কোচবিহারের নেতা অনন্ত মহারাজ বিজেপির সাথে ছিলেন। মহারাজকে সাথে পেয়ে কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভালো ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সাথে অনন্ত মহারাজের যোগাযোগ শুরু হয়। সম্প্রতি চিলা রায়ের জন্ম উৎসব পালনে গ্রেটারদের অনুষ্ঠানে অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসেন এবং ঐ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ঐ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোচবিহারের উন্নয়নে একাধিক প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, অনন্ত মহারাজের নিজস্ব উদ্যোগে সাদা পোশাক, হলুদ গামছা এবং মাথায় পাগড়ি লাগানো নারায়ণী সেনা নামে পরিচিতদের পুলিশে চাকরির প্রস্তাবও দেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন থেকে গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে আন্দোলন চলে আসছে উত্তরবঙ্গের এই প্রত্যন্ত জেলা গুলিতে।
বর্তমানে ঐ আন্দোলনের নেতৃত্ব এখন একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে গেলেও মূল শক্তি অনন্ত মহারাজ এবং বংশীবদন বর্মণের হাতে রয়েছে। ইতিমধ্যেই বংশীবদন বর্মণ প্রশাসনিক পদে যোগ দিয়ে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সমর্থন জানিয়েছেন। বাকি শুধু অনন্ত মহারাজ। বিগত দুটি নির্বাচনে বিজেপির সাথে থাকা অনন্ত মহারাজের সম্পর্ক তৃনমূলকে মাশুল দিতে হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তাই এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে অনন্ত মহারাজের সাথে ঘাসফুল শিবির ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।