এনএফবি, কোচবিহারঃ
ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে ভিটে-মাটি হারা মানুষদের মধ্যে খাবার ও ত্রিপল বিলি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন তিনি সুটকাবারি-মোয়ামারি অঞ্চলে গিয়ে ঝড় বিধ্বস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন।
এছাড়াও কোচবিহার-১ নং ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি এবং মৃতদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন কোচবিহার পুরসভার পুর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবিবার রাতেও ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। এরপর সোমবার সকালে আবারও তিনি ঐ অঞ্চলে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন। প্রসঙ্গত, বিধ্বংসী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আহত হয়েছে বহু মানুষ। রবিবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি সহ ঝড় শুরু হয়। রবিবার সন্ধ্যায় কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারি সুক্টাবাড়ি সহ বেশ কিছু এলাকার উপর দিয়ে প্রবল বেগে ঝড় বয়ে যায়। কোচবিহার-১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কোচবিহার শহর, কোচবিহার-২ ব্লক, মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকেও ধ্বংসলীলা চালায় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের দাপট এতটাই ছিল কোচবিহার-১ ব্লকের মোয়ামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় আঠারোকোটা গ্রামে জাহাঙ্গির আলম (১৬) ও ঘুঘুমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকায় দেবদাস পাল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, ঘরের ওপর গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০০০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকশো মানুষ আহত হয়েছে। মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি সহ ঝড় হয়। রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘোকসাডাঙ্গা , লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারিকামারি, পুটিমারি এলাকায় বিশালাকারের শিলা পড়তে দেখা যায়। প্রচুর বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, টিনের চালা কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যায়। কৃষিজ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
