এনএফবি, বীরভূমঃ
রামপুরহাট কাণ্ডে স্বস্তঃস্ফূর্ত মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ দ্বিতীয়ার্ধে মামলার শুনানি হবে।
সোমবার রামপুরহাট বগটুই গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। তারপর সেই দিন রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। আগুনে পুড়ে আহত এক চিকিৎসাধীনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে- বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়। যদিও অসমর্থিত সূত্রের দাবি মৃত্যুর সংখ্যা ১০, স্থানীয়দের দাবি মৃতের সংখ্যা ১২। গতকাল রাতেই মৃতদের জেলা শাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। যদিও মৃতদের সনাক্তকরণ করা আলাউদ্দিন শেখের পরিচয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রশ্ন তুলেছে মৃতদের আত্মীয় পরিচয় দেওয়া মিহিরাল শেখ ও বানিরুল শেখ নামে দুই ব্যক্তি।
ঘটনার পর শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পুলিশ মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে উপপ্রধান খুনের মামলায়। বাকিদের অগ্নিসংযোগ মামলায়। বুধবার সবাইকেই রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
এই ঘটনার পর রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। একদিকে বিরোধীরা বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অপরদিকে শাসক তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্তের উপর আস্থা রাখার কথা জানানো হয়।
সরকার ইতিমধ্যে সিট(SIT) বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।
বুধবার সকালেই বগটুই গ্রামে পৌঁছায় সিআইডি এবং পাঁচ সদস্যের ফরেন্সিক দল। সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এই তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে।
পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পৌঁছান সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে প্রমাণ লোপাটের বিষয়ে সচেতন থাকার কথাও উল্লেখ করেন।
সর্বোপরি বাম জামানায় নন্দীগ্রাম নেতাইয়ের পর তৃণমূল পরিচালিত ১১ বছরের শাসনকালে এই প্রথম একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ উর্ধ্বমুখী। যদিও সরকার বারবার তদন্তে আস্থা রাখার আবেদন করছে।