এনএফবি, কলকাতাঃ
রামপুরহাটে অগ্নিদগ্ধ ১০ জনের মৃত দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি।
সোমবার স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা উপপ্রধান খুনের ঘটনা ঘটার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ইতিমধ্যে ১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এবার এই ঘটনার তদন্তে সিট(SIT) গঠন করল করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রামপুরহাটের ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে এবং এসডিপিওকে অপসারিত করা হয়েছে। জ্ঞানবন্ত সিং, মীরজ খালিদ, সঞ্জয় সিং-এর নেতৃত্বে সিট এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীরা সরব হয়েছে। উত্তাল বিধানসভাও। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সভার শুরুতেই বিষয়টি উত্থাপন করেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, তারপরেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা পরে তারা অধিবেশন ওয়াক আউট করেন।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এক বিবৃতিতে জানান, তৃণমূল নেত্রী বিরোধীশূন্য করতে বলেছিলেন এখন তৃণমূল তৃণমূলশূন্য করতে চাইছে। তোলাবাজির ভাগ কে পাবে কে পাবে না তাই নিয়ে ১০ জন মানুষ খুন হলেন। একইসঙ্গে সেলিম এই খুন খুনির রাজনীতির প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেন, এই মৃত্যু মিছিল আমরা দেখতে চাই না সে হতে পারে তৃণমূল। পাশাপাশি তিনি সাবধান করে বলেন, হিন্দু মুসলমানের লাশ হিসাবে দেখবেন না। মানুষ মারা যাচ্ছে। সেলিম মানুষকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ উপপ্রধান খুনের পর রামপুরহাটে ১০ জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার
পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ” আমরা মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। এটা রাজ্য সরকার চলছে না সার্কাস চলছে? এতবড় একটা অঘটন ঘটে গেল! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১০ জন পশ্চিমবঙ্গবাসীর জীবন চলে গেল, আর পুলিশের কাছে কোনও ইনপুট নেই! পুলিশ করছেটা কী?”
এদিকে রামপুরহাটের ঘটনায় বিরোধীর যেমন সরব। অন্যদিকে শাসক তৃণমূলও সক্রিয়। পরপর বেশ কয়েকটি টুইট করে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানান, রামপুরহাটের ঘটনায় রাজনীতি নেই। বাংলার পরিস্থিতি ভালো। এ দিনের প্রথম টুইটে কুনাল লেখেন, “রামপুরহাটে আগুনে মৃত্যু। অবাঞ্ছিত। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদ। এর আগের দিন তৃণমূল উপপ্রধানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়। তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ দল ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
1/3: রামপুরহাটে আগুনে মৃত্যু।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 22, 2022
দুঃখের। অবাঞ্ছিত।
কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। স্থানীয় গ্রাম্য বিবাদ।
এর আগের দিন তৃণমূল উপপ্রধানকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।
তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।
গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।
রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, দমকল ব্যবস্থা নিয়েছে।
More
দ্বিতীয় টুইটে তিনি লেখেন,”রামপুরহাটের ঘটনায় সরকার তৎপরতার সঙ্গে যা যা করার করছে। ওসি ক্লোজড। এসডিপিও অপসারিত। তিন সদস্যের সিট জ্ঞানবন্ত সিং মীরজ খালিদ, সঞ্জয় সিং যথাযথ তদন্ত হবে। দুর্ঘটনা না আগের কোন প্রতিক্রিয়া না ষড়যন্ত্র সবটা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই।”
তিনি আরও লিখেছেন,” রামপুরহাটের আগুনের ঘটনায় রাজনীতি নেই। মৃত্যু দুঃখের। এইভাবে মৃত্যু আরও দুঃখের। যারা এই নিয়ে রাজনীতি করছেন তাদের রাজ্য থেকেও আমাদের রাজ্যকে মৃতদেহ বাংলায় ফিরিয়ে আনতে হয়। বিজেপি এনডিএ শাসিত রাজ্যে নিয়মিত অপহৃত এবং হত্যা চলছে। বাংলার পরিস্থিতি ভালো তদন্ত চলছে।”