ডার্বিতে হারের হাফ ডজন পূর্ণ করল লাল-হলুদ ব্রিগেড

এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ

অন্যান্য রবিবারের সঙ্গে আজকের রবিবার টা ছিল একদমই আলাদা ৷ বহুদিন পর পুরোনো মেজাজে ইলিশ চিংড়ির লড়াই নিয়ে মাতোয়ারা আপামর বাঙালি ৷ দীর্ঘ করোনা আবহে একপ্রকার আবেগ অনুভূতিকেও বিসর্জন দিতে হয়েছিল এতোদিন ৷ আজ সুদে আসলে পূর্ণ করতে সরাসরি যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছে গিয়েছিল সদলবলে ৷ লাল হলুদ না সবুজ মেরুন কে আজ শেষ হাসি হাসবে?স্বভাবতই টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে৷

বিকেল ৪ টায় উল্টোডাঙা মোড়ে হাবড়া থেকে আসা এক সমর্থকের কাছে ১০ টা টিকিট বলা ভালো খোলাখুলি ৫০ টাকার টিকিট ১০ গুন বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। শুধু উল্টোডাঙা নয় কাঁদাপাড়া থেকে পুরো সল্টলেক চত্বর পুলিশের নাকের ডগায় টিকিট ব্ল্যাক করার ছবি চোখে এলো। যেখানে ম্যাচের আগে টিকিট পাওয়া ছিল প্রায় আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ পাওয়ার মতো সেখানে ম্যাচের দিন এতো টিকিট ব্ল্যাকিং কোথা থেকে এলো সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। আর হবে নাই বা কেন আড়াই বছর পরে কলকাতায় ফিরলো ঘটি বাঙালের লড়াই। করোনা অভিশাপ কাটিয়ে নিউনরমাল ওয়েতে ফুটবল । কিন্তু করোনা আবহতেও ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলে কোনো বদল নেই। এদিন সেমসাইড গোলে ১-০ গোলে পরপর হাফ ডজন ডার্বিতে হারল লাল হলুদ ব্রিগেড।ম্যাচের প্রথম থেকে এটিকে মোহনবাগানকে যতটা আক্রমণ নির্ভর লেগেছিলো ইমামি ইস্টবেঙ্গলের খেলায় তার লেশমাত্র ছিল না। ১৬ মিনিটে আশিক ক্রুরিয়ান লাল হলুদ বক্সে গিয়ে মিস করেন। দুই দলই এদিন একের পর এক গোলের সুযোগ মিস করেন।২১ মিনিটে আশিকের থেকে লিস্টন পাস পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন। তবে ৩৩ মিনিটে সুযোগ পায় লাল হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু ইভান গঞ্জালেজের শট একটুর জন্য মিস হয়। ৩৯ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের হুগো বৌমস। ৪৪ মিনিটে ফের সবুজ মেরুনের কাল ম্যাকহউ হলুদ কার্ড দেখেন। প্রথমার্ধে শেষ সময়ে অতিরিক্ত লিস্টনের কর্নার থেকে সেমসাইড গোল করে দলকে ডুবিয়ে দিলেন সুমিত পাশি। গত দুই ম্যাচে একের পর এক গোল মিস আর এদিন সেমসাইড গোল করে গেলেন। ৫৩ মিনিটে লিস্টনের শট সেভ কমলজিৎ। ৬০ মিনিটে গোল মিস করলেন ধুমধাম করে নিয়ে আসা পল পাগবার দাদা ফ্লোরেনিটন পোগবা। ৭১ মিনিটে সুমিত পাশি ফের গোল মিস করলেন। এরপরও গোল মিসের ছবি এটিকে মোহনবাগানের ,একের পর এক গোল মিস ৷

এদিনও আন্দোলন চোখে পড়ল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন আর এএফএসডিএলের যৌথ পার্টনারশিপের বিরুদ্ধে। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকেরাও মোহনবাগানের ব্রেক মার্জরের বিরুদ্ধে পোস্টার তুললেন। সবকিছুই হলো। ইস্টবেঙ্গল গোল মিসের বহর কবে মিটবে তাও জানে না কেউ। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ছয়টা ডার্বি চলে গেলেও জয়ে ফিরলো না। আর কবে ইস্টবেঙ্গল ডার্বিতে জয়ে ফিরবে সেটা ভেবে পাচ্ছেন না লাল হলুদ জনতা। ডার্বি জিতলেও পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা প্রায় কম। তবুও ডার্বি জয়ের তৃপ্তির ঢেকুর তুলেই মাঠ ছাড়লেন মোহনবাগান জনতা ।