এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
প্রণয় ঘটিত কারণে নাবালিকাকে রাতের অন্ধকারে গুলি করে খুনের চেষ্টা যুবকের। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শহর সহ সমগ্র বংশীহারী ব্লক জুড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত্রি ৯টা নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল বুনিয়াদপুর পুরসভার ১নং ওয়ার্ড খুশিপুরের এক নাবালিকা। সেইসময়ই ২ নং ওয়ার্ড শেরপুর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অন্ধকার রাস্তায় এলাকার যুবক মানিক হালদার (২২) পথ আটকায় তার। এরপরই ওই নাবালিকার সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। চিৎকার-চেঁচামেচিতে পার্শবর্তী ক্লাব থেকে স্থানীয় ছেলেরা ছুটে আসে। নাবালিকাকে উত্যক্ত করার ঘটনা আটকাতে গেলেই গুলি চালায় মানিক হালদার। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় এলাকার এক যুবক রাজা দাস (২০)। তড়িঘড়ি গুলিবিদ্ধ যুবককে প্রথমে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, পরবর্তীতে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই গুলিবিদ্ধ যুবককে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযুক্ত মানিক হালদারকে গ্রেফতার করে বংশীহারী থানার পুলিশ। পাশাপাশি শেরপুর এলাকায় রাস্তা সংলগ্ন বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার হয় ঘটনায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই নাবালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মানিক হালদারের। সম্পর্কের টানাপোড়নের জেরেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সে। অবশ্য নাবালিকার পরিবারের দাবি প্রেম নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই অভিযুক্ত উত্যক্ত করতো নাবালিকাকে। বেশ কয়েক মাস আগে দিল্লি থেকে এসে, অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার বাড়ির পাশেই মামার বাড়িতে থাকতো। অভিযুক্ত কিশোরের বাড়ি কুশমন্ডি থানার ছাইতান এলাকায়। তার বাবা-মা কর্মসূত্রে দিল্লীতে থাকেন। গতকাল রাতেই এমন ঘটনা চাউর হতেই এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে শহরের বুকে এমন গুলি কাণ্ডের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। যুবকের কাছে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এলো ঘটনার তদন্তে নেমেছে বংশীহারী থানার পুলিশ। শুক্রবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার। এই বিষয়ে তিনি বলেন “খুশিপুর এলাকায় একটি ছেলে ও মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরেই গতকাল রাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় অভিযুক্ত যুবক। এলাকাবাসীরা বাধা দিতে এলে অভিযুক্তর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় এলাকারই এক যুবক রাজা দাস(২০)। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।” জানা গিয়েছে শুক্রবার ধৃতকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।