অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
সেরা অ্যাটাকারদের নিয়ে গড়া মুম্বই এফ সি দলের আক্রমণ বিভাগকে, যে ভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেয় তাঁর দল, তা দেখে শুধু খুশিই নয়, গর্বিতও এসসি ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিং। তাঁর বিশ্বাস, গত এক সপ্তাহ ধরে দলকে যা শিখিয়েছেন, তাই দিয়েই এই কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে সফল হয়েছে তাদের দল। ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের যা বললেন রেনেডি , তারই নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়া হল।
আজকের পারফরম্যান্সের পর আপনি কতটা গর্বিত?
উত্তরঃ সত্যিই আমি গর্বিত। আপনারা সবাই দেখেছেন ওদের পারফরম্যান্স। গর্ব করার মতোই খেলেছে। ভাবতে পারছেন, আমরা মাত্র একজন বিদেশি নিয়ে ওদের সেরা চার বিদেশি ফুটবলারের বিরুদ্ধে লড়েছি! আমাদের দলের ভারতীয় ফুটবলাররা এবং চিমা ও শেষের দিকে ড্যারেন সবাই মিলে সেরা ফুটবল খেলেছে। উইথ দ্য বল আমরা আরও ভাল খেলতে পারতাম। তবে সেই সময়টা পাইনি। তবে যে ভাবে ওরা রক্ষণ সামলেছে, তা সত্যিই গর্ব করার মতো।
এই ম্যাচ থেকে কী শিখলেন এবং কী অর্জন করলেন?
উত্তরঃ যদি কঠোর পরিশ্রম করতে পারো, তা হলে একজন বিদেশি নিয়েও ভাল ফুটবল খেলা সম্ভব। এটা আমাদের সকলেরই বিশ্বাস করা উচিত। মুম্বই এই লিগের সেরা আক্রমণাত্মক দল। ওদের বিরুদ্ধে আমরা যে ভাবে ডিফেন্ড করেছি, তার জেরে একটাও ক্লিয়ার কাট চান্স ওরা পায়নি। আমরা গভীরে ঢুকে রক্ষণ সামলেছি। শেষে আমরা হয়তো একটা গোলও পেতাম।
অসাধারণ ডিফেন্স করেছেন ঠিকই। কিন্তু একটা গোল পেলেই ম্যাচটা জিততে পারতেন। আক্রমণে কী সমস্যা হল?
উত্তরঃ যেখানে আমরা একজন মাত্র বিদেশি নিয়ে খেলছি, অনেকেই উইথ দ্য বল স্বাচ্ছন্দবোধ করে না। আমি ছ-সাত দিন মাত্র দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হলে আমাদের সেরা মানের ফুটবলার প্রয়োজন। তবে উইদাউট বল ছেলেরা যে ভাবে রক্ষণ সামলেছে, তাতে অভিযোগের কোনও জায়গায় নেই। কী করতে পারতাম, কী পারিনি, এ সব আলোচনার জায়গায় নেই এখন। পরের ম্যাচে রক্ষণে আরও ভাল করতে হবে আমাদের। আরও মনোনিবেশ করতে হবে। মাত্র সাত দিনে তিনটে ম্যাচ খেলা মোটেই সোজা নয়। আমাদের আবার একসঙ্গে মাঠে ফিরতে হবে। জ্যাকি, বলওয়ান্ত, ড্যারেনকে ফিরতে দেখে ভালই লাগল। এখনও আমাদের চার-পাঁচজন বিদেশির চোট।
আগে আপনাদের ডিফেন্স এত ভাল ছিল না। সেখানে এখন মুম্বইয়ের মতো দলের বিরুদ্ধে ক্লিন শিট রাখতে পারছেন। এমন কী করলেন, যার জন্য এমন উন্নতি ঘটল?
উত্তরঃ আমি যে দিন থেকে দলের দায়িত্ব পাই, সে দিন থেকে দলের কাঠামোর ওপর বেশি জোর দিয়েছি। ডিফেন্ড ও অ্যাটাক দুই ক্ষেত্রেই ‘শেপ’ বজায় রাখাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমাদের পাঁচজন উঠে গিয়েছিল। মাঝমাঠে কেউই ছিল না। পাঁচজন রক্ষণে ছিল। আমাদের এ রকম খেলার দরকার নেই। একটা কাঠামো মেনে দল সাজাতে হবে। আক্রমণেও উঠলে দল বেঁধে উঠতে হবে এবং রক্ষণও দল বেঁধে করতে হবে। গত ছ-সাত দিন ধরে আমরা এটাই করে আসছি। এটাই কাজে লাগছে।