অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
এবার ভারতের উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৫ জুলাই নজরুল মঞ্চে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঋদ্ধিকে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এই বিষয়ে ঋদ্ধিমান সাহার স্ত্রী রোমি সাহা জানালেন,” যোগ্য মনে করেছে সেই কারণে দিচ্ছে। রাজ্য সরকারকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ওর প্রাপ্য সম্মান ও পেল।”যদিও ঋদ্ধিমান এখন ভারতীয় দলের বাইরে। বয়সের কারণে ঋদ্ধিকে আর নেওয়া হবে না সেটা ভারতীয় কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাকে জানিয়ে দেন। এরপর ঋদ্ধি কে আক্রমণ করেন সি এ বি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। তার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অপমানে বাংলা ছাড়েন ঋদ্ধি। তিনি সিএবি থেকে এনওসি নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলায় থাকার জন্য আমাকে আগেও অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত যখন নিয়েই ফেলেছি তখন আর থাকার কথা ভাবিনি। বাংলাকে আমার শুভেচ্ছা রইল”।
শেষ পযর্ন্ত সিএবির সঙ্গে ইগোর লড়াইয়ে বিরক্ত হয়ে চলে যেতে হল? উত্তরে ঋদ্ধি জানান,”সিএবি বা বাংলা দলের সঙ্গে আমার কোনও দিনই ইগোর লড়াই ছিল না। হয়তো এক কর্তার সঙ্গে একটা মতপার্থক্য হয়েছিল। ঠিক আছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দেবব্রতর ওই মন্তব্যর জন্য দূঃখ প্রকাশ করার দাবি জানান ঋদ্ধি। কিন্তু দেবব্রত কোনও রকম ভাবে দূঃখ প্রকাশ করেননি। আশ্চর্যের ঘটনা সিএবির শীর্ষস্থানীয় কর্তারা এই ব্যাপারে নীরব ছিলেন। মাঠে,মাঠের বাইরে ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা যথেষ্ট ভাল। কিন্তু কোন কারণে সিএবি কর্তারা নীরব থাকলেন। যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তাতে কি আন্তরিকতা ছিল? বরং দেবব্রত দাস ভারতীয় দলের ম্যানেজার পদ পেয়ে ‘পুরস্কৃত’ হন । এই নিয়ে স্থানীয় ক্রিকেট মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যদিও ঋদ্ধি ত্রিপুরায় গিয়ে মেন্টর কাম প্লেয়ার হয়েছেন। ঋদ্ধি ছাড়াও প্রাক্তন ফুটবলার ভরত ছেত্রীকেও বঙ্গবিভূষণ দেওয়া হচ্ছে।