অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
আট ম্যাচ পরে পনেরো তম IPL জয়ের খাতা খুলল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নিজের জন্মদিনে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ম্যাচ শেষে দলের বোলারদের প্রশংসা করার সঙ্গে সঙ্গে নিজের দলের তরুণ অফ স্পিনার হৃত্বিক শোকিনের প্রশংসাও করেন তিনি।
ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রোহিত বলেন, ‘ বাটলার যখন পুরোপুরি সেট, তখন শোকিনকে বল করতে পাঠানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিই । ও হয়ত কয়েকটা ছক্কা খায় । কিন্তু কাজের কাজটা করে দেয় আমাদের হয়ে । বাটলারের উইকেটটিও তুলে নেয় ও। আর সেকারণেই রাজস্থানকে ১০-১৫ রান কমে আটকে রাখা গিয়েছে।’
হৃত্বিক শোকিন নিজের প্রথম ২ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন। সেটা রাজস্থানের ভয়ঙ্কর ফর্মে থাকা জস বাটলারের উইকেট।
বাটলার তখন ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওভারের প্রথম চারটি বলে হৃত্বিককে পরপর ৪টি ছক্কা মারেন বাটলার। শেষ বলে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। শোকিন রাজস্থান ম্যাচে ৩ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। রাজস্থানের হয়ে ওপেন করতে নামেন দেবদূত পাডিক্কল ও জস বাটলার। পাডিক্কল ১৫ রান করে ফিরলেও বাটলার ছিলেন নিজের চেনা ছন্দেই। ৫২ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। সঞ্জু স্যামসন করেন ১৬ রান। ড্যারিল মিচেল করেন ১৭ রান। ৯ বলে ২১ রান করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে রাজস্থান। মুম্বইয়ের হয়ে ২ টি করে উইকেট নেন হৃত্তিক শোকেন ও রিলে মেরেডিথ। একটি করে উইকেট পান কুমার কার্তিকেয়া ও ড্যানিয়েল স্যামস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফের এদিন ব্যাট হাতে রান পাননি রোহিত। মাত্র ২ রান করে অশ্বিনের বলে আউট হন তিনি। ঈশান কিষাণ করেন ১৮ বলে ২৬ রান। এরপর সূর্যকুমার যাদব ও তলিক বর্মা কিছুটা লড়াই চালান। ৩৯ বলে ৫১ রান করেন যাদব এবং তিলক করেন ৩০ বলে ৩৫ রান। বাকি কাজটা করেন কায়রন পোলার্ড এবং টিম ডেভিড। পোলার্ড যদিও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ১০ করে আউট হন তিনি। ড্যানিয়াল স্যামস নেমেই ছয় মেরে ম্যাচ জেতান মুম্বইকে। ডেভিড অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২০ রান করে। রাজস্থানের হয়ে একটি করে উইকেট পান ট্রেন্ট বোল্ট, প্রসিধ কৃষ্ণ, অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ সেন।