বুনো হাতি তাড়াতে উত্তরবঙ্গ থেকে শম্ভু-মীনাক্ষীকে আনা হল ঝাড়গ্রামে
এনএফবি, ঝাড়গ্রামঃ
দলমার দামালদের মোকাবিলা করতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান থেকে ঝাড়গ্রাম এসে পৌঁছাল বনদফতরের দুই বিশ্বস্ত ও দক্ষ কুনকি হাতি শম্ভু ও মীনাক্ষী। বেশ কিছুদিন ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দলমার একপাল হাতি। কিন্তু কুনকির অভাবে ওই দামাল হাতিদের বাগে আনা তো দূরের কথা তাদের মোকাবিলা করতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে বনকর্মীদের।
বনদফতরের পর্যবেক্ষণ, সহজলভ্য খাবারের খোঁজ পেয়ে ওই হাতির দল জঙ্গলমহলের দুই জেলার স্থায়ী আবাসিক হয়ে উঠেছে। ফলে তারা স্বাভাবিক রীতি মেনে আর কিছুতেই ঝাড়খণ্ডের দিকে ফিরতে চাইছে না। দৈনিক বিঘের পর বিঘে ফসল সাবার করে নিজেদের পেট ভরাচ্ছে ওই বুনো হাতির দল। সঙ্গে বাড়িঘর ভাঙা ও মানুষের জীবনহানির ঘটনাও ঘটছে। ফলে ওই দুই জেলায় হাতি-মানুষের সংঘাত শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
![](https://newsfrontbangla.com/wp-content/uploads/2022/10/WhatsApp-Image-2022-10-11-at-6.55.31-PM-1024x576.jpeg)
লোকবল দিয়ে সমস্যার মোকাবিলা করতে না পেরে, শেষ পর্যন্ত স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে বনদপ্তর। উত্তরবঙ্গের দুই দক্ষ কুনকি হাতিকে সেখানে নিয়ে গিয়ে রেসিডেন্সিয়াল হয়ে ওঠা ওই হাতিদের তাড়িয়ে দেওয়ার ছক কষা হয়েছে। কারণ, এর আগেও বেশ কয়েকবার শম্ভু ও মীনাক্ষী সাফল্যের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা-সহ বাঁকুড়ায় সাফল্যের সঙ্গে দলমার দামালদের মোকাবিলা করে এসেছে।
স্বাভাবিক কারণেই জঙ্গলমহলের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিষ্কৃতি দিতে মুশকিল আসান হিসেবে ফের মীনাক্ষী আর শত্রুর উপরেই ভরসা করেছে বনদফতর। মঙ্গলবার দুটি লরিতে চেপে ঝাড়গ্রামে এসে পৌঁছাল শম্ভু ও মীনাক্ষী।