শঙ্কর রায়ও হাতছাড়া লাল হলুদের

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

হাত থেকে তুরুপের তাস গুলো ক্রমশ বের হতে শুরু করেছে মহামেডানের। এবার ইস্টবেঙ্গল ছাড়লেন গোলকিপার শঙ্কর রায়। লাল হলুদ জার্সি ছেড়ে মহামেডানে সই করলেন শঙ্কর। গত দুই মরশুম আইএসএলে লাল হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নামেন শঙ্কর। কিন্তু এবার ইস্টবেঙ্গল এবং ইনভেস্টর ইমামির চুক্তি জটে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত সেই কারণে সাদা কালো জার্সি গায়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন শঙ্কর। যদিও সাদা কালো জার্সিতেই শঙ্করের উত্থান কয়েক মরশুম আগে। প্রতিভাবান তারকা মহামেডান ছেড়ে পরের তিন মরশুম খেলেন মোহনবাগানের জার্সিতে । ২০১৯ -২০ মরশুমে মোহনবাগানের আই লিগ জয়ী দলের তিনিই এক নম্বর গোলকিপার ছিলেন। আইলিগ জয়ী বাগান কোচ কিবু ভিকুনা তাকে পছন্দ করতেন খুব। তবে মোহনবাগান এবং এটিকে মার্জ হয়ে যাওয়ায় শঙ্কর আর ডাক পাননি।

তিন মরশুম সবুজ মেরুন সংসারে থাকার পর শঙ্কর নাম লেখান পড়শি ইস্টবেঙ্গলে। রবি ফাউলার এবং মানোলো দিয়াজের প্রশিক্ষণে খেলেছেন দুই মরশুমেই। তবে অরিন্দম ভট্টাচার্য প্ৰথম চয়েস গোলকিপার থাকায় নিয়মিত সুযোগ জোটেনি প্ৰথম একাদশে।আপাতত যা ঠিক আছে আগামী মরশুমে আই লিগেই নামবে মহামেডান স্পোর্টিং। ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি চুক্তি এখনও হয়নি। গত সোমবার সাত প্রাক্তনের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি লাল হলুদ ক্লাব সচিবকে দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ৯ জুন ট্রান্সফার উইন্ডো খুলেছে । ফুটবলার সই করানোর ব্যাপারে ক্লাব উদাসীন। ইমামির সঙ্গে ক্লাবের চুক্তির ২৪-২৫ দিন অতিবাহিত। তবুও কোনও আলোর দিশা দেখা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ক্লাবের কোটি কোটি সমর্থকরা খুবই চিন্তিত। আইএসএলের খেলার উপযুক্ত টিম করতে না পারলে ক্লাবের ইতিহাস কালিমালিপ্ত হবে। যা কাঙ্ক্ষিত নয়। তেমন হলে লিগ, শিল্ড, ডুরান্ড কাপের মতো টুর্নামেন্টগুলোতেই ফোকাস করা হোক। একইসঙ্গে আই লিগ ও সন্তোষ ট্রফি দেখে কিছু বাছাই প্লেয়ারের তালিকায় ক্লাবকে দেওয়া হয়েছিল কর্তাদের অনুরোধে। সেই উদ্যোগ কি সঠিক দিশা পাবে? এই প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন, মিহির বসু, প্রশান্ত ব্যানার্জি, কৃষ্ণেন্দু রায়, অলোক মুখার্জি, বিকাশ পাঁজি, সুমিত মুখার্জি ও রহিম নবি।