অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
রবি শাস্ত্রী খেলা ছেড়ে দেওয়ার পনেরো বছর পরে ভারতের মাটিতে শুরু হয় ক্রিকেটের কোটিপতি লিগ আইপিএল (IPL)। অনেক অনামী ক্রিকেটার বড় অঙ্কের দাম পায়। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে IPL। তারপর থেকে ক্রিকেটারদের লাভের অঙ্ক দিনের পর দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবি শাস্ত্রী এখন ক্রিকেট খেললে তার আইপিএল (IPL) দর কত হত!
এখন খেললে ipl নিলামে তার দর কত হত তা জানালেন শাস্ত্রী। রবি শাস্ত্রী এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে জানাচ্ছেন , “অনায়াসে আমাকে ১৫ কোটির তালিকায় রাখা যেত। আবারও বলছি, অনায়াসে! কোনও দলের অধিনায়কও হয়ে যেতে পারতাম। কোনও প্রশ্ন, কোনও সন্দেহ থাকার কথাই নয় এটা নিয়ে। মাথা খাটানোর কোনও দরকার নেই।’’
ডান হাতে ওপেনিং ব্যাটিং ও বাঁ হাতি স্পিনার ছিলেন চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়ন। রঞ্জি ট্রফিতে এক ম্যাচে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার নজিরও আছে ভারতের প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যের। টিমকে জেতান বেনসন হেন হেজেস ট্রফিও।
যদি শাস্ত্রী ১৫ কোটি পেতেন, তা হলে রেকর্ড হত। কারণ IPL এখনও ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ দাম পেয়েছেন যুবরাজ সিং,১৬ কোটি টাকা দিয়ে যুবিকে দলে নেয় RCB । এর পরেই রয়েছেন ঈশান কিসান , এ বারের নিলামে ১৫.২৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
গত বছর ভারতীয় দলের কোচিং ছাড়ার পরে ২০১৭ সালের পরে ফের IPL কমেন্ট্রি বক্সে থাকবেন শাস্ত্রী।
২০১৮ সালে IPL ভ্যালু ছিল ৬.৩ বিলিয়ন ডলার। প্রতি বছর সম্প্রচারের অধিকার থেকে এটি ১৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। IPL শুরুর আগে ভারতে ক্রিকেটের অনেক টুর্নামেন্ট ছিল কিন্তু কমার্শিয়াল ভাবে লাভ জনক ছিল না। তাই IPL বিশেষভাবে মডেল করা হয়েছিল এনএলএফের মতো যার একটি বিকেন্দ্রীভূত লিগ আছে মানে সব দল মালিকানাধীন এবং স্বাধীনভাবে পরিচালিত। যদিও ম্যাচ হয় সব ভারতের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে। কিন্তু প্রতিটি টিম নিয়ে আসে বিশ্বের নামীদামি ক্রিকেটারকে। ২০১৮ সালে, দলগুলি ৯৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল নিলামে ১৬৯ খেলোয়াড় কিনতে, ২০১৭ সালে যা ছিল ৪০ মিলিয়ন ডলার ৬৬ জন খেলোয়াড়ের জন্য। IPL শুরুর আগে ভারতে ক্রিকেটের অনেক টুর্নামেন্ট ছিল কিন্তু কমার্শিয়াল ভাবে লাভ জনক ছিল না।