এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার চাপাডালির হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেশ রানা নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন। আর সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে।
কিন্তু চাঁপাডালি স্কুলের পড়ুয়ারা প্রধান শিক্ষকের ভালোবাসা স্নেহ থেকে দূরে সরে থাকতে চাইছে না। আর সে কারণেই পড়ুয়ারা তাদের প্রিয় প্রধান শিক্ষকের অন্যত্র বদলি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। শুধু স্কুলের পড়ুয়ারাই নয় অভিভাবকেরাও মেনে নিতে পারেননি বিষয়টি। যে কারণে শনিবার স্কুলের পড়ুয়ারা এই স্কুলের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, তাদের দাবি তাদের প্রিয় প্রধান শিক্ষককে স্কুলেই থাকতে হবে, স্কুল ছেড়ে যেতে দেবে না তারা। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাপাডালি হাইস্কুলের ২০১০ সাল থেকেই প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন নরেশ রানা। যদিও নরেশ বাবুর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংএর দশক গ্রাম এলাকায়। সে কারণেই তিনি নিজের এলাকার স্কুলে বদলি হয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সাথেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন নরেশ বাবু। স্কুলের শিক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষা কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যকলাপ মন কেড়েছিল পড়ুয়াদের।
উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠে বদলির আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। সেই মোতাবেক তিনি পাঁশকুড়ার চাঁপাডালি স্কুল ছেড়ে চলে যাবার প্রস্তুতি নেন। তখনই স্কুলের পড়ুয়ারা তাকে ঘিরে তার চলে যাওয়া আটকে দেয়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ঐ প্রধান শিক্ষককে চলে যেতেই হবে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক নরেশ বাবু। প্রধান শিক্ষকের স্কুল পরিচালনার ভঙ্গিমা মন কেড়েছিল সকলের। তাই অবসর বয়স পর্যন্ত তাকে ঐ স্কুলে থাকতে হবে এমনটাই দাবি পড়ুয়াদের।