এনএফবি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
গৃহবধূর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অপরাধে, গৃহবধূর স্বামী, শাশুড়ি, ননদ সহ শ্বশুরবাড়ির মোট পাঁচজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলো ঘাটাল মহকুমা আদালতে। ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানা এলাকায়। জানা যায় ২০১৩ সালে ৩০ আগস্ট দাসপুরের বাসিন্দা নির্মল রায় ও তার পরিবার স্ত্রী রুমা রায়কে ঘুমন্ত অবস্থায় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে মৃতদেহ দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গৃহবধূ রুমা রায়ের বাবার বাড়ির সদস্যরা এসে দাসপুর থানায় অভিযোগ করে যে তাদের মেয়েকে খুন করেছে রুমার স্বামী, শাশুড়ি, সহ পরিবারের মোট ৫ জন। অভিযোগ পেয়ে দাসপুর থানার পুলিশ মৃত গৃহবধূর স্বামী, শাশুড়ী সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং ঘাটাল মহকুমা আদালতে তোলা হলে তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পায়।
দীর্ঘ ৯ বছর পর আজ মঙ্গলবার দাসপুরের গৃহবধূ রুমা রায় কে খুন করার অপরাধে স্বামী নির্মল রায় ও শাশুড়ি প্রভাবতী রায় সহ শ্বশুরবাড়ির মোট ৫ জন সদস্যের যাবজ্জীবন সাজা এবং দশ হাজার টাকা করে জরিমানা ঘোষণা করল ঘাটাল মহকুমা আদালত।
মৃত গৃহবধূ রুমা রায়ের বাবা সুকুমার রায়, ভাই শুভন রায় বলেন, ” বিয়ের পর থেকেই রুমার উপর অত্যাচার করত স্বামী সহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২০১৩ সালে ৩০ আগস্ট রুমার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে রুমার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির পাঁচজন সদস্য। আমরা সেই অভিযোগ করেছিলাম দাসপুর থানায়। অভিযোগ প্রমাণিত হয়, সেই মত আজ ওই পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এতে রুমার আত্মার শান্তি পাবে।”