অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
পাল্টে গেলো অঙ্ক! বদলে গেলো সমীকরণ! একেবারে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া মোহনবাগান সভাপতির পদে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের পথের কাঁটা হয়ে গেলো অনেক রাজনৈতিক সমীকরণ। শোনা যাচ্ছে মঙ্গলবার প্রাক্তন বাগান টুটু বসুর বাড়িতে দুই দফায় বৈঠক হয় নতুন সচিব দেবাশিস দত্তর। সেখানেই নানা ময়দানী রাজনৈতিক অঙ্ক আসতে শুরু করে দেয়। ফলে বুধবার বাগানের প্রথম কর্মসমিতির বৈঠকে কোনো সভাপতি নির্বাচন হলো না গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে। অর্থাৎ এখন মোহনবাগান ক্লাব সভাপতিহীন। পরের মাসে কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হবে নতুন সভাপতি।
চার জন সহ সভাপতি হলেন। অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ রায়, মলয় ঘটক আগেই ছিলেন সহসভাপতি। এবার যুক্ত হলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। বাকি দুটো সহ সভাপতি পদের জন্য যোগ্য লোক এখনও খুঁজে পায়নি ক্লাব। সভাপতি নির্বাচন পরের মাসেই দ্বিতীয় কর্মসমিতির বৈঠক হবে ।তৃণমূল ক্লাব কি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দলের আয়ত্তে চলে যাচ্ছে! এই প্রশ্নের উত্তরে স্টেট ব্যাটে উত্তর দিলেন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি জানাচ্ছেন, “আমাদের ক্লাবের সভাপতি হওয়ার জন্য সমাজে সবদিকে গ্রহণযোগ্য হতে হয়, আর শারীরিক দিকেও একটু শক্ত থাকতে হয়। অনেকেই বিবেচনায় আছে দেখা যাক কী হয়! আর মলয় ঘটকের বাড়িতে একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও একটা গোষ্ঠ পালের ছবি আছে। আমি কোনো মোহনবাগান সমর্থকের বাড়িতে গোষ্ঠ পালের ছবি দেখিনি। আর অরূপ রায় যখন অন্য রাজনৈতিক দল রাজ্যে ক্ষমতায় তখন থেকে উনি মোহনবাগান মেম্বার। আর কুনাল ঘোষ পনেরো বছর ধরে মোহনবাগান মেম্বার। সবাই নিজের যোগ্যতায় আছে। মোহনবাগানে রাজনীতির কোনো জায়গা নেই। অন্য রাজনৈতিক দলের মেম্বাররাও আগে ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”
আগে শুধু আইএসএলের টিকিট পেতো ক্লাব। এবার আগামী মাসে এএফসি কাপের টিকিটও মোহনবাগান মেম্বারদের দেওয়া হবে। আগামী মাসেই গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে নতুন ট্রেন্ট উদ্বোধন হবে বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে দিয়ে। পয়লা বৈশাখে ক্লাবের বার পুজোতে এবার এটিকে মোহনবাগান দলের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, এবার বার পুজোর পরেই ক্লাবে মাঠে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে, খুব তাড়াতাড়ি হকির জন্য মাঠ তৈরী করা হবে। মোহনবাগান সব টুর্নামেন্টেই খেলবে আর কলকাতা লিগ নিজের মাঠেই খেলবে, এবার থেকে প্রত্যেক মাসের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ের তারিখ আগের মাসে বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সম্ভবত এবারই প্রথম বার ক্লাবের ইতিহাসে কর্মসমিতির বৈঠকে প্রত্যেকে সদস্য হাজির ছিলেন।