এনএফবি, কোচবিহারঃ
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, কড়া রোদ হোক বা বৃষ্টি, যে কোনও পরিস্থিতিতেই স্কুলের বারান্দায় বসেই মিড-ডে মিল খেতে হয় খুদে পড়ুয়াদের। অনেক সময় বৃষ্টিতে ভিজেই খাওয়া সারতে হয় তাদের । এমনই ছবি মাথাভাঙ্গা ১ ব্লকের শিকারপুর কুসুম কুমারী নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের। বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েও স্কুলে ডাইনিং শেডের সম্প্রসারণ না হওয়ায় ক্ষোভের দানা বেঁধেছে অভিভাবক মহলে।
মাথাভাঙ্গা ময়নাগুড়ি রাজ্য সড়কের ধারেই কয়েক বিঘা জমির ওপর এই স্কুলটির অবস্থান। যেখানে সুবিশাল গেট সহ ফাঁকা মাঠ পড়ে রয়েছে । কিন্তু নেই মিড ডে মিলের জন্য কোনও পর্যাপ্ত ডাইনিং শেড। অগত্যা স্কুল মাঠে, বারান্দায়, ক্লাস রুমে বসে মিড ডে মিলের খাবার খেতে হয় ছোট ছোট পড়ুয়াদের। ওই স্কুলে প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা ১৬৪। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১২৫ জনের উপস্থিতি হয়। বিদ্যালয় চত্বরে যে ডাইনিং শেড রয়েছে তাতে ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্র ছাত্রী বসে খাবার ব্যবস্থা রয়েছে। মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ কুড়ি মিনিটের মধ্যে ১২০ জন ছাত্র ছাত্রী কে একসাথে বসিয়ে খাবার খাওয়ানো সম্ভব না হওয়ায় বারান্দায়, ক্লাস রুমে বসে খাবার খেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের এমনটাই জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা যায় প্রায় দশ বছর আগে যে ডাইনিং শেড করা হয়েছে তা কাজেই আসে না।গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা বেশ অসন্তুষ্ট। একই রকম অবস্থায় মিড ডে মিল খাওয়াতে নাজেহাল হতে হয় শিক্ষকদেরও। তাঁরা সকলেই চান, স্কুলে দ্রুত গড়ে উঠুক নতুন ডাইনিং হল।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র বর্মণ জানান, ডাইনিং শেডের জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে একাধিকবার জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা জানান,”বিষয়টি নজরে রয়েছে ।আশা করি দ্রুত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।”