স্থানীয়

তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা তছরুপের অভিযোগ

এনএফবি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার অন্তর্গত গড়বেতা ২ নম্বর ব্লকের ১০ নম্বর জোগাড় ডাঙ্গা এলাকাতে আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। প্রায় ৩১ টি বাড়ি তৈরির টাকা ভয় দেখিয়ে নিজেদের কুক্ষিগত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ ২০১৬ ও ২০১৭ বর্ষে জোগাড় ডাঙ্গা অঞ্চলের চেকুয়াশোলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে প্রায় ৩১ টি বাড়ি তৈরি বরাদ্দ টাকা উপভোক্তাদের একাউন্টে আসে। এছাড়া আরও অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তৃণমূল নেতা বিদ্যুৎ সন্নিগ্রহি ও অঞ্চল কমিটির সভাপতি তৃণমূলের গণেশ দত্ত উপভোক্তাদের জোর করে বাড়ির টাকা নিয়ে নেয়। এবং জানায় আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি করে দেবে ঠিকাদারের মাধ্যমে। কিন্তু ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি হয়নি। এই বিষয়ে উপভোক্তারা বলেন, “আমাদেরকে বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে এই টাকাগুলোকে হাতিয়ে নেয় ঐ তৃণমূল নেতারা। ৩ কিস্তির টাকা উঠে যায় কিন্তু বাড়ি এখনও পর্যন্ত কমপ্লিট হয়নি। যদি কেউ টাকা না দিতে রাজি হয় তাহলে তাদের রেশন, ১০০ দিনের কাজ, বাড়িতে জল সব বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয়।” এই বিষয়ে উপভোক্তারা স্থানীয় ব্লক অফিসের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকেও থানায় ও ব্লক অফিসের বিডিওর কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে।এবং বিজেপির পক্ষ থেকে দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। গড়বেতা দু’নম্বরের বিডিও কৃষ্ণ নির্মাল্য চক্রবর্তী জানান, “বিষয়টি নিয়ে আমি তদন্ত করছি আমি নিজে এলাকায় গিয়ে উপভোক্তাদের সাথে কথা বলবো, এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

তারকনাথ লোহার, অভিযোগকারী

অবশ্য এই বিষয়ে অভিযুক্ত বিদ্যুৎ সন্নিগ্রহি জানান, “এগুলো সবই মিথ্যা কথা আমি এসব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই। আমার নামে ভুল প্রচার করা হলে আমি আদালতের দ্বারস্থ হবো।” তবে পিঙ্গলার বিধায়ক এবং জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে জানান, “শুনেছি এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে তবে ঠিকাদার এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এই বিষয়ে যদি আমাদের দলের কোনো নেতা জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এখন প্রশ্ন আবাস যোজনার বাড়ি মানুষ কবে পায় সেটাই দেখার আশায় রয়েছে সাধারণ মানুষ।

কৃষ্ণ নির্মাল্য চক্রবর্তী, বিডিও