পুরোনো স্মৃতি নিয়েই ডার্বিতে নামছে বৈদ্যবাটির হীরা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

দু’মাস আগে আইএসএল -এর মরশুমের প্রথম ডার্বিতে তিনি মাঠে নামার সুযোগ পাননি। এই দু’মাসে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে নিজেকে ডার্বির প্রথম দলে থাকার যোগ্য প্রমাণ করে তুলেছেন হীরা মন্ডল। প্রথম ডার্বি খেলতে নামার আগে স্বাভাবিকভাবে উত্তেজিত হীরা। তিনি জানান,”ছোটবেলা থেকে ডার্বি দেখেই আমরা বড় হয়েছি। তখন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান খেলা মানে বিশাল ব্যাপার। আমাদের পাড়ায় সবাই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। ইস্টবেঙ্গলের পতাকা, তারকাদের ছবি লাগানো, এগুলো আমিও করেছি। তখন এই ডার্বি ঘিরে খুব মাতামাতি হত। বাড়িতে বা ক্লাবে বড় টিভি আনা হত খেলা দেখার জন্য। যখন ইস্টবেঙ্গল জিততো, খুব আনন্দ হত। আমি যখন অনূর্ধ্ব ১৯ দলে সুযোগ পাই, তখন ডার্বি খেলার সুযোগ এসেছিল। সেই ম্যাচে নামার আগে কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ডার্বি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই আমার প্রথম ডার্বি। সেই ম্যাচে আমরা একটা পেনাল্টি পেয়েছিলাম। সেই পেনাল্টি থেকে আমি গোল করেছিলাম। সেই গোলের কথা এখনও মনে আছে। জিতেন মুর্মূ দ্বিতীয় গোল করেছিল। আমরা সেই দু’গোলে জিতেছিলাম। সেটা একটা স্মরণীয় দিন। এখন আইএসএলের মতো বড় মঞ্চে আবার ডার্বি খেলব। সে জন্য খুবই ভাল লাগছে।” নিজের দলের পারফরমেন্স নিয়ে বাংলার এই তরুণ ফুটবলার জানান,”প্রথম দিকে আমাদের ফল অতটা ভাল ছিল না। ক্রমশ আমরা উন্নতি করেছি। গত ম্যাচটা বাদ দিয়ে তার আগের তিন-চারটে ম্যাচে আমরা ভাল খেলেছি। এখন দলের সবার মধ্যেই একটা বিশ্বাস এসেছে যে আমরা ভাল কিছু করতে পারি। সেই বিশ্বাস নিয়েই এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি। মোটিভেশনের স্তরও অনেকটা ভাল। শেষ ম্যাচটা আমাদের ভাল যায়নি ঠিকই। তবে আশা করি, ঘুরে দাঁড়াব আমরা।” প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে নিয়ে হীরা জানান,”ওদের অ্যাটাকিং লাইন খুবই ভাল আইএসএল এর অন্যতম সেরা। আমরা সে ভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি। আমাদের ডিফেন্স লাইন যে রকম, তাতে আমরা প্রত্যেকে যদি নিজেদের একশো শতাংশ দিতে পারি, তা হলে ওদের আটকাতে পারব। এমন কিছু নয় যে আমরা আটকাতে পারব না। প্রথম লক্ষ্য থাকবে ডিফেন্সকে আঁটোসাঁটো রাখা। বিশেষ করে মাঝখানের লাইনটা। তার পরে আক্রমণে উঠব। শুরুর দিকে রক্ষণাত্মকই থাকব। হুড়মুড় করে আক্রমণে যাব না। আগে নিজেদের ঘর বাঁচাতে হবে, তার পরে বিপক্ষের ঘর ভাঙতে যাব।”