জেলাফিচার

ভোট আসলে প্রতিশ্রুতির খেলা, মত প্রবীণদের

এনএফবি,বালুরঘাটঃ

ভোট আসে আবার চলেও যায়। কিছু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয় আবার কিছু প্রতিশ্রুতি আসছে বার আবার হবে আশ্বাসবানী শুনিয়ে চলে যায়। ভোট আসলে ফের পুরনাগরিকদের সাথে এই প্রতিশ্রুতির খেলা চলে। বিশেষ করে বয়ষ্ক পুরনাগরিকদের চোখে এই চিত্রই ভেসে ওঠে। ফের দুয়ারে কড়া নাড়ছে পুরসভার ভোট ।

ভোট এলেই প্রবীণ পুর নাগরিকদের চোখের সামনে একদা ” দাদা ঠাকুর ” সিনেমার ছবি বিশ্বাসের মুখের সেই গানটির প্রথম লাইনটির কথা মনে পড়ে যায়। যেখানে দাদা ঠাকুরের বেশে ছবি বিশ্বাস গেয়ে উঠছেন, “আয় ভোটাররা ভোট দিয়ে যা.. “। সে রাম ও যেমন নেই তেমন অযোধ্যাও নেই। যুগ পাল্টেছে তার সাথে তালে তাল মিলিয়ে পাল্টে গেছে সমাজ। তাই প্রবীণ পুরনাগরিকরা চোখের সামনে পুর স্বাচ্ছন্দ্য পাল্টে যেতে দেখতে অভস্ত্য হয়ে উঠেছেন। হয়তো কিছু কাজ বাকি থাকে তা পূরণ করবার জন্য তাই ভরসা রাখছেন নবীনদের উপর। পারলে পারবে নবীনরাই।

এমনই জানাচ্ছেন বালুরঘাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা যতীন্দ্র রায়, চিনু ব্যানার্জীর মত প্রবীণ বাসিন্দারা। তাদের দাবি পুরসভার কাছ থেকে তারা আশা করেন পুরনাগরিকদের পুর স্বাচ্ছন্দ্য। পাশাপাশি অসুখ বিসুখ করলে পুরনাগরিকদের পাশে থাকার। এলাকায় পথবাতি থেকে যাতে রোগের বিজানু না ছড়ায় তার জন্য নিত্যদিন জঞ্জাল সাফাই যেন করা হয় সেদিকে নজর রাখা। ভাঙা রাস্তা সারিয়ে তোলা থেকে পানীয় জলের মত গুরুতর সমস্যা গুলো দ্রুত মিটিয়ে ওয়ার্ডের পুরনাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখাই একমাত্র পুরভোটে চাহিদা তাদের । এর জন্য তারা প্রবীণ প্রার্থীদের চেয়ে নবীন প্রার্থীদের উপরেই ভরসা রাখতে আগ্রহী।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বালুরঘাট পুরসভার পুরভোটে কোন রাজনৈতিকদলের নবীন প্রার্থীদের উপর তাদের ওয়ার্ডের আম জনতা পুরনাগরিকদের পুরস্বচ্ছন্দের ভাগ্য পাল্টাতে ভরসা রাখেন , সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুনঃ দিনহাটায় পুরসভা কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল নিল তৃণমূল