অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্যাপ্টেন্সিতে অভিষেক হয় ভারতের প্রাক্তন বাঁ হাতি ব্যাটার যুবরাজ সিংয়ের। তবে যুবরাজ ভারতের হয়ে অভিষেকের আগের দিন রাতে ঘুমোতেই পারেননি। সেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনালে যুবরাজ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকগ্রা, ব্রেট লিদের পিটিয়ে ৮৪ রান করেন ৮০ বলে। ফলস্বরূপ স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যায় সৌরভের ভারত।
সেই স্মৃতিতে গিয়ে যুবরাজ জানালেন, “ম্যাচের আগের দিন সৌরভ আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি ওপেনিং করতে পারবে! উত্তরে আমি বলি নিশ্চই, যদি তুমি আমাকে ওপেনিংয়ে চাও আমি ওপেন করবো। সেই দিন পুরো রাত আমি ঘুমোতে পারিনি। যদিও আমি ওপেন করিনি আমি পাঁচ নম্বরে ব্যাট করি। যখন আমি ব্যাট করতে যাই চাপের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু যখন ব্যাট করতে যাই লক্ষ্য ছিল প্রত্যেক বলে ফোকাস করা।”
যদিও সেই ম্যাচে ৩৭ রানের মাথায় আউট হতে বেঁচে যান যুবি, তার ক্যাচ মিস হয় । যুবরাজ জানালেন,”৩৭ করে আউট হলেও খুশি হতাম কারণ অভিষেক ম্যাচ ছিল আর প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালি বোলিং আট্যাক। সৌভাগ্যক্রমে আমি ৮৪রান করি। আমি জানি না কিভাবে,বল দেখে মারা আমার টার্গেট ছিল। ম্যাচের সেরাও হয়েছিলাম। আমার জন্য একটি খুব বড় মুহূর্ত ছিল ওই দিনটা।” যদিও সেইবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ভারত।
এখনও অবধি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ওয়ান ডে ব্যাটার বিবেচিত হন যুবরাজ। নিজের সেরা অধিনায়ক হিসেবে বরাবরই সৌরভকে বেছে নিয়েছেন পাঞ্জাব কা পুত্তর। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বারবার বিতর্ক হয়।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। ছোটবেলায় কোনও শারীরিক বাধা না থাকলেও ক্যান্সার জয় করে আবারও ক্রিকেটে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। ২০১১ সালে ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে যুবরাজের। যদিও ক্যান্সার নিয়ে খেলেও দেশকে বিশ্বকাপ জেতান সিরিজের সেরাও হন। ২০১২ সাল পর্যন্ত চলে তার কেমোথেরাপি। তার জন্য ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন।
যুবি ৩০৪টি ওডিআই এবং ৪০টি টেস্ট খেলেছেন। ২০০০ সালের অক্টোবরে তার অভিষেক হওয়ার পর যথাক্রমে ৮৭০১ এবং ১৯০০ রান করেছেন। বাঁহাতি স্পিন বোলিংয়ে তিনি ১১১ টি ওডিআই উইকেটও নিয়েছেন।