দক্ষিণ দিনাজপুরে অল্প পুঁজিতে কোয়েল প্রতিপালনে নতুন ব্যবসার দিশা

এনএফবি, বালুরঘাটঃ

জাপানি কোয়েল পাখি চাষ করে গ্রামের মানুষদের স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার পথ দেখাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের আজইর গ্রামের ” দীন দুঃখিনী ফার্মার্স ক্লাব”। অন্য যে কোনও পোল্ট্রি ব্যবসার তুলনায় কোয়েল প্রতিপালন বেকারদের জন্য অত্যন্ত দ্রুততার সাথে লাভজনক ব্যবসার উপায়।পাশাপাশি বিকল্প আয়ের জন্য কৃষকবন্ধুরা কৃষিকাজের সাথে এই কোয়েল পাখি প্রতিপালন করেও নিজেদের ও পরিবারকে সাবলম্বী করে তুলতে পারেন।সেদিকেই দিশা দেখাতে এগিয়ে এসেছে এই এলাকার দীন দুঃখিনী ফার্মাস ক্লাব।

নিজস্ব চিত্র

সব চেয়ে মজার কথা কোয়েল পাখি পালন করতে জায়গা খুবই কম লাগে ও এদের রোগ অসুখ প্রায় হয় না বললেই চলে। কোয়েল পাখি খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। ব্রয়লার কোয়েলকে ৪ সপ্তাহ বয়সে বাজারে বিক্রি করা যায়। ৪ সপ্তাহ বয়সে ওজন ১২৫ গ্রাম ও ৫ সপ্তাহে ওজন ১৪০ – ১৫০ গ্রাম হয়। ৭টি কোয়েলে ১ কেজি মাংস হয়। কোয়েল ৬ – ৭ সপ্তাহ বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করে। এর পাশাপাশি এক ফুট বাই চার ফুট বা তিন ফুট খাঁচায় ৬০টির মতো কোয়েল পাখি রাখা যায়। কোয়েল তার জীবনচক্রে ৬০০ গ্রামের মতো খাবার খায়। কোয়েলের তেমন কোনও রোগ-ব্যাধি নেই। ফলে টিকা দেওয়া কিংবা ওষুধের খরচও সেভাবে নেই বললেই চলে।আরও লক্ষ্য করার বিষয় হলো আমাদের ভারতীয় জলবায়ু পাখি পালনের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয় এবং কোয়েল পাখিরা সব ধরণের পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
এখন কোয়েল প্রতিপালন করে সব খরচ বাদ দিয়েও প্রতি মাসে কম করে ১৫ হাজার টাকার ও বেশী আয় করা সম্ভব বলে জানা গেছে ।


চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে অল্প পুঁজি খাটিয়ে অতি সহজেই কোয়েল পাখি প্রতিপালন করে স্বাবলম্বী হতে পারে এলাকার বেকার যুবক-যুবতীরা। সে ব্যাপারেই বিশেষ জোর দিচ্ছে কুমারগঞ্জ ব্লকের এই দীন দুঃখিনী ফার্মার্স ক্লাব।