এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
গত মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী। ১১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর রাজ্যের প্রতিটি জেলার সব ব্লকে অন্তত একটি করে সভা হবে এমনটাই নির্দেশ। পাঁচশোর বেশি সভা হবে গোটা রাজ্য জুড়ে। পুজোর আগেই দলীয় নেতৃত্বকে এ-বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজয়া সম্মিলনীর আবহে এই সভায় কোন বিষয় গুলি তুলে ধরতে হবে সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনও দিয়ে ছিলেন অভিষেক। গত বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে করা বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ভগবানপুরে দলের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। দলীয় স্তরের সেই সম্মেলনে হাজির ছিলেন রাজ্যের কারাগার মন্ত্রী অখিল গিরি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও তন্ময় ঘোষ, চণ্ডীপুরের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য ও অর্ধেন্দুশেখর মাইতি, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোর্তিন্ময় কর, সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি শেখ আনুয়ারউদ্দীন, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, মদনমোহন পাত্র প্রমুখ।
এদিন ভগবানপুরের ভীমেশ্বরী হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হল। ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা জন প্রতিনিধি ও বিশিষ্টরা এতে হাজির ছিলেন। বিজয়া সম্মিলনীতে স্বাভাবিক ভাবেই বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টিমুখ হয়। তাঁর মধ্যেই এগরা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির নাম কেন কার্ডে রাখা হয়নি। তা নিয়েই সভামঞ্চের সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী।
পাশাপাশি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাসের ইস্তফার দাবি করেন। মঞ্চ থেকে নেমে গিয়ে কুনাল ঘোষ ও বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে তার পাশাপাশি বাংলার উন্নয়ন, কেন্দ্রের অবিচার, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় উচ্চমানের জীবনযাপন, কেন্দ্রের আর্থিক বৈষম্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কর্মসংস্থানের সদিচ্ছা দেখিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের ফর্মুলা-এসবও উঠে এলো সভার বক্তৃতায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সভাগুলি এক প্রকার মহড়ার কাজ করবে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
বহু বছর ধরেই পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনী করে আসছে দল। এবারও তাই হবে। তবে এবার বিজয়া সম্মিলনীর গুরুত্ব আলাদা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা যত বেশি করে সম্ভব মানুষের কাছে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরুন। সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা ঠিক মতো পাচ্ছেন কি না তা দেখুন। তাঁদের পাশে থাকুন।”