এনএফবি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
কোলাঘাটের পাইকপাড়ি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রায় দুই মাস ধরে রোগীদের খাদ্য পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। রোগীর মাথা পিছু খাবারের জন্য যে সরকারি বরাদ্দ তা যথোপযুক্ত নয় বলে দাবী। সেকারনেই ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীদের-ভাত সহ টিফিন পরিষেবা বন্ধ। যার ফলে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী ও রোগীর পরিবারদের। কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ নবকুমার ভঞ্জ বলেন, পাইকপাড়ি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খাওয়ার পরিবেশনের দায়িত্বে ছিল একটি সেলফ হেল্প গ্রুপ। তারা দু’মাস আগেই তারা জানায় এই বরাদ্দ টাকায় কাজ করতে পারবে না। জানা যায় রোগীদের খাওয়ারের বরাদ্দ টাকা ছিলো ৫৮ টাকা। তাতে করে খাওয়ার ও টিফিন এই সামান্য টাকায় করতে তারা সমস্যায় পড়ছেন। তাই চিঠি দিয়ে বিএমওএইচকে জানায় স্বসহায়ক দলটি। এই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মূখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানান কোলাঘাটের বিএমওএইচ। পরে বিষয়টি জেলা মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কোলকাতায় স্বাস্থ্য ভবনেও জানিয়েছেন বলে জানান নবকুমার বাবু।
বেশ কিছু রোগী ও রোগীর পরিবার আজ নিউজ ফ্রন্ট বাংলার প্রতিনিধিকে জানান, চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছে তারা। প্রাপ্য সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেন তারা।
কোলাঘাটের এই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুধুমাত্র কোলাঘাটের স্থানীয় মানুষজন চিকিৎসা পরিষেবা পান তা নয়। পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ২ ব্লকের বহু রোগী এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। আর এই খাদ্য পরিষেবা বন্ধ থাকায় রোগীদের সঠিক পুষ্টিযুক্ত খাদ্য থেকে যেমন বঞ্ছিত হচ্ছেন। পাশাপাশি অনেক সময়, সঠিক সময়ে খাদ্য দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন রোগীর পরিবারেরা। সব মিলিয়ে সরকারী পরিষেবা থেকে কত দিন বঞ্ছিত থাকেন রোগীরা সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে কোলাঘাটে।