এনএফবি ব্যুরো, নিউজ ডেস্কঃ
সংসদের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা! সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিন পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জেরে সমগ্র শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল মোট ১২ জন সাংসদকে।
এদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের দুই রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। এছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসের ছয় সাংসদ, তারা হলেন ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া বর্মা, রিপুণ বোরা, রাজমণি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হোসেন এবং অখিলেশ প্রসাদ সিং। শিব সেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেশাই। সিপিএমের ই করিম এবং সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম।
সেদিন পেগাসাস ইস্যুতে রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী সাংসদরা। সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। সরকারপক্ষ তখন থেকেই এই সাংসদদের শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। আজ সোমবার শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই অভিযুক্ত ১২ সাংসদের শাস্তির দাবিতে প্রস্তাব আনে সরকার পক্ষ। সেই দাবি মেনেই ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল।
Rajya Sabha suspends 12 members for remaining part of winter session over their misconduct and unruly behaviour during last session
— Press Trust of India (@PTI_News) November 29, 2021
বস্তুত এভাবে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড হওয়ার ঘটনা একেবারেই নতুন কিছু নয়। গত বাদল অধিবেশন থেকেই বিরোধী সাংসদদের আন্দোলন দমন করতে সাসপেনশনকে হাতিয়ার করে চলেছে সরকারপক্ষ। এর আগে লোকসভার বহু সাংসদকে হট্টগোলের জন্য সাসপেন্ড হতে হয়েছিল। রাজ্যসভাতেও বিরোধী সাংসদদের একাধিকবার সাসপেন্ড করেছে সরকার। তৃণমূলের যে দুজন সাংসদ শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড হলেন, তাঁরাও বাদল অধিবেশন চলাকালীন সাসপেনশনের শিকার হয়েছেন। এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্তে বিরোধীরা যে ক্ষুব্ধ হবেন, সেটা বলাই বাহুল্য।