স্থানীয়

উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ- লিফলেট ছড়িয়ে সম্পত্তি তদন্তের দাবি

এনএফবি,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

মেছেদার শান্তিপুর-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত কয়েকমাস ধরে শিরোনামে। দূর্নীতির অভিযোগে শান্তিপুর ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ সেলিম আলিকে রাজ্য তৃনমূল কংগ্রেস পদত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রধান পদত্যাগ করেন। তারপরের দিন কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কালোপাথর মামলায় প্রাক্তন প্রধান সেলিম আলি ও শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ দিবাকর জানাকে গ্রেফতার করে। প্রাক্তন প্রধান এখনও তমলুক সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি। সেই সময় কয়েকদিন শান্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায় বেশ কিছুদিন এলাকা ছাড়া হয়ে ছিলেন। কিন্তু আজ সকাল থেকে মেছেদা শহর ও শান্তিপুর গ্রামের বহু যায়গায় উপপ্রধানের ছবি তার বাড়ির ছবি দিয়ে লিফলেট পড়ে থাকতে দেখা যায়। যা নিয়ে এলকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কৃষ্ণা সামন্ত রায়, উপ প্রধান। নিজস্ব চিত্র

লিফলেটে লেখা আছে, একশ দিনের কাজের দুর্নীতি, আবাস যোজনা দুর্নীতি, বাথরুম বিলির দুর্নীতি, চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকার আত্মসাৎ।জনগণের লুঠ করা টাকায় বাড়ি গাড়ী সম্পত্তি কেনা। এছাড়াও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত প্রচুর অর্থ রেখেছেন বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। আছে গহনাও। তার প্রকৃত তদন্ত চেয়ে লিফলেটে লেখা আছে।

এই লিফলেট প্রসঙ্গে শান্তিপুর-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান সুজয় মাইতি বলেন লিফলেট সমন্ধে তার কোনো মন্তব্য নেই। প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। এই লিফলেটের বিষয়ে তিনি দলের উচ্চ নেতৃত্বদের জানাবেন। স্থানীয় তৃনমূল অঞ্চলের সভাপতি পঞ্চানন দাস বলেন, লিফলেট সম্পর্কে তিনি দলকে জানাবেন।

উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেউ বা কারা তাকে বদনাম করার জন্য এই লিফলেট ছড়িয়েছে। সমস্ত কিছুর তদন্ত হোক তিনিও চান।