এনএফবি, স্পোর্টস ডেস্কঃ
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফেডারেশন সভাপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলকিপার কল্যাণ চৌবে ও সহ সভাপতি হতে চলেছেন কর্ণাটক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনএ হ্যারিস। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন অরুণাচল প্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অজয় কৃপা। সচিব হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে সাজি প্রভাকরণ।
দিল্লি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাকেই এই পদে চাইছে রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। বুধবার গভীর রাতে বৈঠকে পরে সবকিছু চূড়ান্ত হয় । বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেবেন কল্যাণ চৌবে, এনএ হ্যারিস এবং অজয় কৃপা। উপস্থিত থাকবে রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও। সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে দুই প্রধানের প্রাক্তন গোলরক্ষক। কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেবেন না অন্য কোনও প্রার্থী। বিজেপি হাইকমান্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন অমিত শাহ ঘনিষ্ট কল্যাণ। বুধবার সন্ধে ছয়টায় শুরু হয় মিটিং চলে রাত প্রায় মাঝ রাত অবধি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রায় সব রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। সকলেরই সমর্থন পান কল্যাণ চৌবে। বাংলা থেকে সভায় যোগ দিয়েছিলেন আইএফএ সভাপতি তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দাদা অজিত বন্দোপাধ্যায় । আগে সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিলেও, এবার আর কোনও পদের জন্যই মনোনয়ন জমা দেবেন অজিত । ২ সেপ্টেম্বর ফেডারেশনের নির্বাচন । এরফলে সেটা কার্যত নিয়মরক্ষার হয়ে গেল।ফিফার তরফ থেকে তৃতীয় পক্ষ বা থার্ড পার্টির সরাসরি হস্তক্ষেপের কারণেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয় ভারতকে। এর আগে বহুবার ফিফা ভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে সতর্ক করেছে। এমনকী কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে বারবার জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সরাসরি হস্তক্ষেপ তারা পছন্দ করছে না। কিন্তু তারপরই তারা কোনও পদক্ষেপ না নেওয়াতেই এই এই চরম সিদ্ধান্ত।
ফিফার তরফে প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।