এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ
পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হতে চলছেন আয়েশা মালিক। বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি প্যানেল আয়েশার নাম অনুমোদন করেছে। বর্তমানে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি তিনি।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টম্বর প্রথম প্রধান বিচারপতি হিসাবে আয়েশা মালিকের নাম উঠে আসে জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্থান(জেসিপি)-র সুপারিশে।কিন্তু কমিশনের চার সদস্য তাঁর পক্ষে মত প্রকাশ করলেও বাকি চার সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে ছিলেন। ফলে সেই বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায় নি। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগের আভ্যন্তরীণ নির্বাচনে ৫-৪ ভোটে এগিয়ে যান আয়েশা। বৃহস্পতিবার জেসিপি-র তরফে প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ আয়েশা মালিকের নামে সম্মতি দিয়েছেন। এরপর তাঁর নিয়োগে আর কোনও আইনি বাধা রইল না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তিনি সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হলে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ওই পদে থাকবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ল স্কুল থেকে ল’ গ্রাজুয়েট আয়েশা দীর্ঘদিন বেসরকারি আইন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন। তবে প্রধান বিচারপতি পদে আয়েশার এই উত্থানের পথ সহজ ছিল না। প্রতিপদে তাঁকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তাঁকে প্রধান বিচারপতি পদে নির্বাচিত করার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদে নামে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল লতিফ আফ্রিদির নেতৃত্বে পরিচালিত হয় আন্দোলন। আয়েশার নাম সুপারিশকে কেন্দ্র করে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে পাকিস্থান বার কাউন্সিল এবং জেসিপি। বৃহস্পতিবার জেসিপি-র বৈঠক বয়কটের ডাক দেয় বার কাউন্সিলের সদস্যরা। বাড়তে থাকে চাপানউতোর। অবশেষে জয় হয় আয়েশার।
রীতিমতো শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে কাজ করা এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিয়ে তার যথেষ্ট বিশ্বাস যোগ্যতা রয়েছে সেদেশের আইনজীবী মহলে।একাধিক জটিল মামলায় রায় দিয়েছেন। পাকিস্তানের মতন রক্ষণশীল সমাজে প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে আয়েশার এই উত্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।