এনএফবি,ঝাড়গ্রামঃ
ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ২নং ব্লকের অন্তর্গত গোয়ালমারা থেকে বেলিয়াবেড়া পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ আট বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকদের বারবার জানানো সত্ত্বেও ওই রাস্তার মেরামত করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি । বরং ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ওভারলোড বালি গাড়ি যাতায়াত করে। ২৪ঘন্টা ওভারলোড বালির গাড়ির দাপট থাকে ওই রাস্তার উপর। হুঁশ নেই প্রশাসনের বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। কিন্তু এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তার মেরামত করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি ।স্থানীয় বাসিন্দারা আরো বলেন যে ওই রাস্তার উপর দিয়ে যেতে হয় স্থানীয় বেলিয়াবেড়া জেনারেল কলেজে, স্কুলে, বিডিও অফিসে, এমনকি বেলিয়াবেড়া থানায়।স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন যে, ” আমরা স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিবাদ করেছি রাস্তার জন্য। তা সত্ত্বেও কেন এই রাস্তাটি মেরামত করা হয়নি তা আজও জানা যায়নি।” যার ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। অথচ সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে রয়েছে সাত থেকে আটটি বালি খাদান প্রতিটি খাদান থেকে প্রতিনিয়ত ৫০০ থেকে ৬০০ ওভারলোড বালি ট্রাক , ট্রাক্টর সহ বিভিন্ন গাড়িতে করে যাতায়াত করে।যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে পথ দুর্ঘটনা। বাইক নিয়ে ওই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করাটা খুবই বিপদজনক হয়ে পড়েছে এখন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।এক ফোঁটা বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানাখন্দ পুকুরে পরিণত হয়। কবে রাস্তাটির মেরামত হবে তা এখনও কেউ জানে না। ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন বেলিয়াবেড়া থানার ওসি সুদীপ পালধী সহ থানার অন্যান্য আধিকারিকেরা। এবং গোপীবল্লভপুর দুই ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ওই রাস্তার মেরামত করা হয়নি। কেন রাস্তা মেরামত করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন করলে স্থানীয় বেলিয়াবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানায়, ” রাস্তাটি সত্যি খারাপ হয়েছে। কিন্তু আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই রাস্তার কাজ করার ক্ষমতা নেই। আমরা আগে এই রাস্তা নিয়ে গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের বিডিও কে জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও কাজ হয়নি।আবারও জানাবো বিডিওকে। কাজ করতে পারে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ।” কিন্তু কি কারণে ওই রাস্তার মেরামত হয়নি তা জানাতে পারেনি বলে জানান ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।