আলোর উৎসবের আগেই আশায় বুক বাঁধছে মৃৎশিল্পীরা

এনএফবি, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

দীর্ঘ দু’বছর করোনা অবহের কারণে জেলা জুড়ে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন মৃৎশিল্পীরা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই শিথিল হয়েছে।

জেলার বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, কুশমন্ডি, হরিরামপুর, তপন, কুমারগঞ্জ হিলি বিভিন্ন ব্লকে আবারও নতুন করে প্রতিমার বরাত আসতে শুরু করেছে। এবার রীতিমতো লাভের মুখ দেখবেন আশায় বুক বেঁধেছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

দীপাবলীর আগমনে জেলা জুড়ে প্রতিমা শিল্পীদের অন্ধকার জীবনে যেন নতুন আলো প্রবেশ করছে। জেলার বিভিন্ন মৃৎশিল্পালয় গুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কালী পুজোর আগে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পীরা। গত দু’বছরে কোভিড-আতঙ্ক থাবা বসিয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন ব্লকের কুমোরটুলিতে। কিন্তু এই বারের ছবিটা সম্পূর্ণ উল্টো। দীর্ঘ দু’বছরের পরে এবার নতুন করে বেড়েছে প্রতিমার বায়না। চলতি বছর অনেকটাই অনুকূল থাকার কারণে প্রতিমা শুকোতে খুব একটা সমস্যাও হচ্ছে না। প্রতিমা শিল্পী তাপস পাল বলেন, “দীর্ঘ ২ বছর পর কালী প্রতিমা তৈরি করে এবার হয়তো লাভের মুখ দেখবো। বিগত দু-বছর পর প্রতিমার বরাদ বেড়েছে অনেকাংশেই।”

আরেক প্রতিমা শিল্পী উৎপল পাল বলেন, “করোনা আবহাওয়া শিথিল হতেই এলাকায় কালী পুজোর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। স্বল্প সময়ে জোর কদমে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি এবার লাভের মুখ দেখবো।”

কালী পুজো আসতে মাঝে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন প্রতিমার নৈপূণ্যতায় এবার আর ত্রুটি রাখতে চাইছেন না প্রতিমা শিল্পীরা। গত দু’বছর জৌলুস অনেকটাই কেড়ে নিয়েছিল করোনা সংক্রমণের প্রভাব। এক শক্তিশালী “অসুর” গ্রাস করেছিল গোটা পৃথিবীকে। আর পাঁচটা জীবিকায় যতটা না প্রভাব পড়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি প্রভাব পড়ে প্রতিমা শিল্পীদের ওপর। প্রবল অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। সেই পরিস্থিতি বর্তামনে অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই গত দুই বছরের ক্ষতিকে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সকল মৃৎ শিল্পীরা।