ক্রীড়া

মরণ বাঁচন ম্যাচে মেঘালয়কে হারালো বাংলা

অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ

মেঘালয় ম্যাচে ফিরে এলো বাংলা। সন্তোষ ট্রফিতে পঞ্জাব ম্যাচ জিতলেও কেরালার বিরুদ্ধে হারের পর কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় টিম বেঙ্গল । কিন্তু মেঘালয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করে জয় ছিনিয়ে সন্তোষে টিকে রইল বঙ্গ ব্রিগেড । এদিন ম্যাচে হয় সাত গোল। পাহাড়ের দলকে ৪-৩ গোলে হারালো রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্যর ছেলেরা।
শুরু থেকেই বাংলা দল আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে। ম্যাচের ২১ মিনিটে গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেয় ফারদিন আলি মোল্লা। কিন্তু এরপর ৩৯ মিনিটে বাংলা ডিফেন্স ভুলে গোল খায়। মেঘালয়ের সাংতি জনাই গোল করে যান। যদিও এরপর ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন ফারদিন। আর এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলা । এদিন ডিফেন্স আর আক্রমণে পরিবর্তন আনেন বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্য।

যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে আবারও সমতায় ফিরে আসে মেঘালয়। সান্তো ট্রাইয়াং গোল করে দেন। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি মেঘালয়। কারণ বাংলার মহিতোষ রায় কিন্তু ৬৪ মিনিটে ডানদিকের ক্রসে গোল করে আসেন। এরপরে আবার মহিতোষের ম্যাজিক, ৭২ মিনিটে মহিতোষের গোলে চতুর্থবার এগিয়ে যায় বাংলা। যদিও শেষের দিকে পেনাল্টি পায় মেঘালয়, কিন্তু সেই পেনাল্টি সেভ করে দেন বাংলার গোলকিপার প্রিয়ন্ত কুমার সিং । ম্যাচের যাবতীয় নজর নিজের দিকে পেনাল্টি বাঁচিয়ে কাড়লেন প্রিয়ন্ত । জয়ের পরে সেলিব্রেশনে মাতলো বাংলা দল। যদিও এই ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালে পৌঁছতে গেলে রবিবারের রাজস্থান ম্যাচও জিততে হবে বাংলাকে। ম্যাচ শেষে বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচাৰ্য্য জানান, “ম্যাচটা ছেলেদের কাছে মরণ বাঁচন ছিল। এই ম্যাচ জিততে না পারলে প্রশ্ন উঠত। তবে ছেলেরা লড়াই করেছে। মেঘালয় ম্যাচ মোটেও সহজ নয় আর বিশেষ করে একটা হারের পরে ফিরে আসা মোটেও সহজ নয়। সব প্রশংসা ছেলেদের, আমার জয়ে কোনো ভূমিকা নেই। আর আইএফএকে ধন্যবাদ গত ম্যাচে হারের পরে দলের পাশে থাকার জন্য। পরের ম্যাচও শক্ত ম্যাচ, রাজস্থানকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্ন নেই । ওই ম্যাচ না জিতলে সেমিফাইনাল খেলা কঠিন হবে। সেই কারণে ওই ম্যাচ জিতে সেমিতে যেতে চাই।”