অঞ্জন চ্যাটার্জী, এনএফবিঃ
রঞ্জি ট্রফির কোয়াটারে দারুণ জয়ের পরে এবার সেমিফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ মধ্যপ্রদেশ। মঙ্গলবার আলুড়ে তাঁদের বিরুদ্ধে নামবে বঙ্গব্রিগেড। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যাটাররা ফর্ম ফিরে পাওয়ায় চিন্তা খানিকটা হলেও কমেছে। তবে ঝাড়খণ্ডের ম্যাচের পিচে যে রকম ঘাস ছিল, তার অর্ধেকও নেই বেঙ্গালুরুর আলুড়ে। পরিষ্কার ভাবে বোঝা যাচ্ছে, পিচ স্পিন সহায়ক। তাই একজন পেসার বসিয়ে বাড়তি স্পিনার খেলানোর কথা ভাবছে বাংলা। সে ক্ষেত্রে ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়কে খেলানো হতে পারে। কিন্তু কার বদলে, তা নিয়েই রয়েছে দ্বিধা। অরুণ লাল বলেছেন, ‘আগের বার অর্ণব দু’টি ইনিংস মিলিয়ে ৭-৮ উইকেট নিয়েছিল। তার পর হাফেসেঞ্চুরি করে। কিন্তু তারপরের ম্যাচেই ওকে বসতে হয়েছিল। এই বাংলা অন্য বাংলা। আমরা নাম দেখে ক্রিকেটটা খেলি না। খেলি টিম হিসাবে।’ সম্ভবত সায়ন শেখর মন্ডলকে বসানো হতে পারে। বাংলার লালজি জানালেন,”দু’দিনে আমাদের অনুশীলন যথাযথ হয়েছে এবং আমরা আগামী কালের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। গত ম্যাচে আমরা একটা ঝুঁকি নিয়েছিলাম। একজন স্পিনারে খেলা এবং পাঁচজন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে অফ-স্পিনার না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। শেষমেশ সেটা আমাদের জন্য কার্যকরী হয়ে দাঁড়ায়। সায়ন শেখর ব্যাট হাতে ভালো খেলে এবং উইকেটও নেয়। এই ম্যাচের দলে সম্ভবত আমাদের আরও একটু ভারসাম্য আনতে হবে। সম্ভবত একজন পেসার কম খেলানো হবে।” একইসঙ্গে চিন্তা রয়েছে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির চোট নিয়েও। ঝাড়খণ্ড ম্যাচেই হারানো ফর্ম ফিরে পেয়েছেন মন্ত্রীমশাই। তার অভিজ্ঞতা সেমিতে বাংলার কাজে দেবে । অরুণ লাল আশাবাদী মনোজ খেলবেন। তার কথায়,”আমার মনে হয় মনোজ কালকের ম্যাচের আগে ফিট হয়ে যাবে। আশা করি ও সেমিফাইনালে মাঠে নামবে।’’পিচ নিয়ে বাংলার কোচ জানালেন,”আমি পিচ দেখেছি। খারাপ নয় । কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশের মধ্যে এখানের শেষ ম্যাচের স্কোর দেখেছি। তিন দিনেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। বেশিরভাগ উইকেট নেয় পেসাররা। সুতরাং, পিচ কেমন হয় দেখার জন্য ম্যাচের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে সাধারণভাবে ২ স্পিনার ও ৩ পেসারে দল সাজানোই যথাযথ হবে বলে মনে হয়।’’