এনএফবি,কলকাতাঃ
‘চোর ধরো জেলে ভরো’ বিজেপির নবান্ন অভিযানে বেরিয়ে বিজেপির নেতা কর্মীরা গতকাল রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারির বিরোধিতায় নবান্ন অভিযান একটা সময় কার্যত লালবাজার অভিযানে রূপান্তরিত হয়ে যায়। লালবাজারের পাশেই মহাত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের গাড়িতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুন। বহু বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের প্রহারে বহু পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদেরই মধ্যে বিশেষ ভাবে আহত হয়েছে মধ্য কলকাতার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর একটি হাত ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আজ তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
What is this?
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 13, 2022
Is this peaceful political event?
Police Officer is being attacked by BJP goons.
Each and everybody should be arrested. pic.twitter.com/VFpyOQ90tT
ইতিমধ্যেই দেবজিৎবাবুর উপর বিজেপি কর্মীদের হামলার ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মাথায় হেলমেট আর পুলিশের পোশাক পরে ছিলেন দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আচমকাই বিজেপির উত্তেজিত কর্মীরা তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে দেয়। প্রথমে পতাকার লাঠি উঁচিয়ে শুরু হয় মার। তিনি কোনওরকমে হেলমেট চেপে ধরে মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি তিনি। ৭-৮জন বিজেপি কর্মী তাঁকে রাস্তার ধারে রেলিংয়ের পাশে ঘিরে ধরেন। ভিডিয়োতে দেখা যায়, এসিপি সেখান থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করলে ফের একজন বিজেপি কর্মী পেছন থেকে তাঁর ইউনিফর্ম চেপে ধরেন। এরপর ফের শুরু হয় বেদম প্রহার । পিছনে ছুটতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। একটা সময় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। তখন ফের তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত কোনওরকমে তিনি সেখান থেকে উঠে পালাতে সক্ষম হন। পরে দুজন এসে তাঁকে ঘিরে ধরে বের করার চেষ্টা করেন। তখনও দেখা যায় পেছন থেকে একজন লাথি মারার চেষ্টা করছেন। এই একের পর এক আঘাতে ভীষণ ভাবে জখম হন তিনি ৷
বিজেপির এই ‘তাণ্ডব’ নিয়ে পরবর্তীতে সরব হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করে টুইট ও করেন অভিষেক। এই পরিস্থিতিতে আজ তিনি জখম পুলিশ কর্তার সঙ্গে এসএসকেএমে গিয়ে সাক্ষাত করবেন বলেও জানাগেছে।