এনএফবি, ঝাড়গ্রামঃ
ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিল উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে জেলা বিজেপির অন্দরে। ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির নতুন জেলা কমিটি ঘোষণার পরেই এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনে যেসব বিজেপি নেতা কর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের জন্য লড়াই করেছে তাঁদের নতুন কমিটি থেকে বাদ দিয়েই বর্তমান জেলা সভাপতির অনুগামীদের নিয়ে নতুন জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে, মূলত এই অভিযোগকে সামনে রেখেই জেলার সিংহভাগ বিজেপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বুধবার রাত থেকেই এর প্রভাব চোখে পড়তে শুরু করে।
গোপীবল্লভপুরে রাতের অন্ধকারে বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে সমস্ত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি বিজেপির দলীয় পতাকা খুলে দেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হন অনেকেই। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন। জেলা পার্টি অফিসে বসে থাকা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয় তাঁদের। পার্টি অফিসের ভেতরে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে পার্টি অফিসের ভেতরে থাকা বিজেপি কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে বাইরে বার করিয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। দরজার বাইরে বসে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বিনপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী পালন সরেন বলেন,”একটা মেরুদণ্ডহীন জেলা কমিটি গঠন হয়েছে, যা কর্মীরা দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে গেছে। নতুন জেলা কমিটি ঠিক করবে তারা দলটাকে শেষ করে দেবে না পুনরায় আগের মতো জায়গায় ফিরিয়ে আনবে।” জেলা পার্টি অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মীরা, এই খবর পেয়ে জেলা পার্টি অফিসে ছুটে আছেন জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুখময় সৎপতি। বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা বলেন। অবশেষে পাঁচ দিনের মধ্যে সমস্যার সুরাহা করার আশ্বাস দিলে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের চাবি খুলে দেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। অথচ জেলা পার্টি অফিসে তালা দেয়ার ঘটনায় জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো না আসায় বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে। প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুকুমার সৎপতি বলেন, “ভোটের সময় এই ছেলেরাই তৃণমূলের কাছে মার খেয়েছে অত্যাচারিত হয়েছে। কিন্তু নতুন জেলা কমিটি গঠন হলে তাঁদের জায়গা না থাকায় তাঁদের ক্ষোভ হওয়াটা স্বাভাবিক। এটা জেলার আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। যা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নেয়া হবে। আমি জেলা সভাপতিকে বলেছি উনি এলে আলোচনা করা হবে।”