ডার্বি জিতেও মুম্বাই ম্যাচ টার্গেট জুয়ানের
স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ
শনিবারের ডার্বি জিতে চাপ কিছুটা কমল এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দর। একইসঙ্গে তার পরের টার্গেট মুম্বই এফসি ম্যাচ। এ দিনের ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানালেন, “ফাঁকা জায়গা খুঁজে বের করাটা ছিল আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ম্যাচের পরের দিকে প্রতিপক্ষের রাইট ও লেফট ব্যাকের পিছনে সেটা করতে সমর্থ হয় আমাদের ছেলেরা। ওঠানামায় আরও উন্নতি করতে হবে। এই মাঠ অনেক বড়। তাই ব্যাপারটা সোজা নয়। দলের ছেলেদের মানসিকতায় আরও পরিবর্তন আনা দরকার। আর আমরা পেশাদার। এই জয় নিয়ে তাই বেশি উচ্ছ্বাসের কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আজকের দিনটা আমাদের সমর্থকদের জন্য খুবই ভাল। তবে আমাদের পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তিন সপ্তাহ আগে যেমন আমরা সবচেয়ে খারাপ দল ছিলাম না, এখনও সবচেয়ে ভাল দল নই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগোনোটা খুব জরুরি। রবিবার থেকে মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি শুরু হবে।”
এরপর তিনি যোগ করেন,
“আমি সব সময় তিন পয়েন্ট অর্জন করাকে বেশি গুরুত্ব দিই। ক্লিন শিট হল কি না, সেটা বড় কথা নয়। মরশুমের শেষে কত পয়েন্ট পেলাম, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, কটা ম্যাচে ক্লিন শিট হয়েছে, সেটা নয়। ক্লিন শিট ব্যক্তিগত পুরস্কার। আমার এবং দলের কাছে তিন পয়েন্টই বেশি জরুরি।”
আশিক কুরুনিয়ানের জায়গায় শুভাশিস বসুকে প্রথম এগারোয় রাখার বিষয়ে জুয়ান জানালেন, “কঠিন ম্যাচগুলোতে আমাদের অন্য ধরনের পরিকল্পনা নিতে হয়। প্রতিপক্ষ কী রকম, তার ওপর নির্ভর করে উইঙ্গার হিসেবে আশিক না মনবীর, কাকে খেলাব। প্রতি ম্যাচেই এই ব্যাপারটাতে বদল আসে। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ই পেশাদার। প্রতি ম্যাচেই ওদের দরকার হয়। প্রত্যেকেই যে দলকে সাহায্য করতে তৈরি, এটা জেনে আমি খুশি। সময়ের উপযোগী সেরা খেলোয়াড় বাছাই করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।”
মনবীর সিংয়ের গোলে ফেরা নিয়ে সবুজ মেরুন কোচ জানান, ” আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি প্রতিদিন ও নিজের সেরাটা দিতে পারছে। অনুশীলনে ও নিজেকে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে। ও নিজের জায়গাটা খুব ভাল বোঝে, চাপটা নিতে পারে, অনেক কিছু আছে ওর মধ্যে। তবু কিছু জায়গায় ওকে এখনও কাজ করতে হবে। কারণ, ব্যাপারটা অত সোজা নয়। একজন নাম্বার নাইনের পক্ষে দুই সেন্টার ব্যাকের মধ্যে জায়গা তৈরি করা এবং নিজের জন্য জায়গা বানানো, সোজা নয় ব্যাপারটা। তবে আমি খুশি যে, মনবীর অনুশীলনে এসব নিয়ে কাজ করার জন্য তৈরি। গত মরশুমেও ও প্রচুর পরিশ্রম করেছিল, পারফরম্যান্সও ভাল ছিল ওর। এখন আরও ভাল হয়েছে। আরও ভাল জায়গা তৈরি করতে পারছে, চাপের মুখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। কখন দৌড় শুরু করতে হবে, ও খুব ভাল করে জানে। আশা করি ও আরও উন্নতি করবে। কারণ, ওর মধ্যে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।”