স্পোর্টস ডেস্ক, এনএফবিঃ
শনিবার কলকাতা ডার্বি। কিন্তু কোথাও যেন গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে গলার কাঁটার মত বাঁধছে এটিকে শব্দ। শনিবারও যে ডার্বির দিন যুবভারতীতে ক্লাবের নামের আগে থেকে এটিকে সরানোর স্লোগান সমর্থকরা তুলবেন সেটা হলফ করে বলা যায়। আদৌ কি সত্যিকারের মোহনবাগান সমর্থকরা এটিকে নামের জন্য ডার্বি নিয়ে ইচ্ছুক। ডার্বির শুরু হওয়ার আগে বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানালেন, টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। গত ৪ দিন মানুষ পাগলের মতো আমাকে ফোন করেছে। যদি ২ হাজার টিকিট থাকে। ডিমান্ড আসছে ২ লাখ। এটিকে নাম সরলে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হব। কিন্তু এ তো মোহনবাগানই খেলছে। গত ছয়টি ডার্বি তো মোহনবাগানই জিতেছে। মোহনবাগান জেতেনি এটা তো হতে পারে না।”
যদিও প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় চলতি সপ্তাহে মোহনবাগান ক্লাবে এসে ডিরেক্টর পদে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যে এটিকের সঙ্গে মোহনবাগান এক হয়েছে তাতে সৌরভের ভূমিকা ছিল। দেবাশিস জানাচ্ছেন, “আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। ও এখনও ডিরেক্টর হয়নি প্রক্রিয়া চলছে আমি এই নিয়ে পরে মন্তব্য করব।”
শুধু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নয় শনিবার ডার্বি দেখতে যাবেন টলিউড তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়ে রাখলেন দেবাশিস।মোহনবাগান ক্লাব টিকিট সেভাবে ইস্টবেঙ্গলকে দেয়নি অভিযোগ লাল হলুদ ক্লাবকে আর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে ময়দানের টিকিট বিক্রিও এবার হয়নি। বাগান সচিব জানাচ্ছেন, আমাদের কোম্পানি মোহনবাগান ক্লাবকে টিকিট দিয়েছে। আমরা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে ৫ হাজার টিকিট দিয়েছি। যা ঠিক আছে। আমরাও ক্লাবে টিকিট বিক্রি করিনি ওদের ক্লাবেও হয়নি। অনলাইনে অনেক টিকিট ছাড়া হয়েছিল সেটা যুবভারতীতে পাওয়া গেছে।” এদিকে শেষ ছ’টি ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগান জিতে যাওয়ায়, নানা ধরনের কথা শুনতে হচ্ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। তবে এবার চাকা ঘুরবে বলেই প্রত্যয়ী লাল হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ডার্বি মানেই নতুন একটা ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা মাঠে খেলেই সমস্ত অপমানের জবাব দেবে বলে মনে করছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। দেবব্রত বলেন, “মোহনবাগান তো অনেক কিছুই বলছে। সব কথার উত্তর দিতে হবে? আমরা মাঠেই এর উত্তর দেব। তার অপেক্ষায় থাকছি।”