জুলাই 5, 2024
Latest:
রাজ্যলেটেস্ট

আমলাদের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে আপত্তি জানিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার

এনএফবি, নিউজ ডেস্কঃ

মঙ্গলবারের পর একই সপ্তাহে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইএএস আইন সংশোধনীতে আপত্তি জানিয়ে দু’দিনের মধ্যে আরও একবার এই চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে ফের কেন্দ্রের আইন সংশোধনীর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি প্রস্তাব করেছে যে তারা সেন্ট্রাল ডেপুটেশন রিজার্ভে থাকা অফিসারদের সংখ্যা বাড়াতে চায়। আর এর জন্য রাজ্য সরকারগুলি যোগ্য আধিকারিকদের কেন্দ্রীয় ডেপুটেনের জন্য উপলব্ধ করুক। বর্তমান সার্ভিস রুলের এই সংশোধনীতেই অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃবিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে মোদীর ভার্চুয়াল ভাষণ বিপত্তি ঘিরে সোশ্যাল ঝড়

আইএএস সংশোধনী আইনের আড়ালে আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়েই ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত শুরু। ১৯৫৪ সালে আইএএস(ক্যাডার) আইন সংশোধন করে কেন্দ্র আমলাদের রাশ পুরোপুরি নিজের হাতে তুলে নিতে চায় মোদী সরকার, এই আশঙ্কা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহের ১৩ জানুয়ারি এই মর্মে ক্ষোভ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারের চিঠিতে ফের একবার তাঁর আপত্তির কথা স্পষ্ট করেছেন তিনি। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আমলারা সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রতিটি মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই প্রেক্ষিতে যদি তাদের গতিপথ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে কাজের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে। এর ফলে কেন্দ্র রাজ্য বিরোধ আরও বাড়বে। বিষয়টি রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের উপর নিয়ন্ত্রণ-এর অধিকার কার তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। কেন্দ্র মনে করে সর্বভারতীয় চাকরিতে নিযুক্ত আইএএস-দের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে এবং থাকা উচিৎ। রাজ্যের দাবি রাজ্য ক্যাডারে থাকা আইএএস-দের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তাদের হাতে। এ নিয়ে অতীতে সংঘাতের দৃষ্টান্ত কিছু কম নয়।

আরও পড়ুনঃ গোরক্ষপুরে চ্যালেঞ্জের মুখে যোগী

বিধানসভা ভোটের পূর্বেই বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার পরে রাজ্যের তিন আইপিএসকে ডেপুটেশনে চেয়েছিল কেন্দ্র। যদিও ওই তিন অফিসারকে ছাড়েনি রাজ্য। ভোট মেটার পরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে যোগ না দেওয়া ঘিরে তৎকালীন বাংলার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। দিল্লিতে কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। তাতেও সম্মতি দেয়নি রাজ্য সরকার।

বস্তুত রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমলাদের দিল্লি পাঠাতে ঘোর আপত্তি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত কয়েকবছরে দু’এক জন ব্যতীত কোনও আইএএস অফিসারকেই কেন্দ্রীয় সরকারি পদে যোগ দেওয়ার অনুমোদন তিনি দেন নি।