এনএফবি ব্যুরো, নিউজ ডেস্কঃ
চোখ রাঙ্গাচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেইন ওমিক্রন। ইতিমধ্যে কর্ণাটকে আক্রান্ত দুই জন। তার সাথে আবার নয়া উদ্বেগ শুক্রবার জানা গেল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বেঙ্গালুরুতে আসা ১০ বিমানযাত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়ে নয়া স্ট্রেন রুখতে জারি করা হল নতুন গাইড লাইন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠিতে প্রত্যেক রাজ্যকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, টেস্টিংয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লাস্টার অথবা হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। কনট্যাক্ট ট্রেসিং, প্রয়োজনীয় কোয়ারেন্টাইন, করোনা আক্রান্তদের আইসোলেশনের যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। দরকারে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে। করোনা টেস্টের সঠিক রিপোর্ট পেতে INSACOG নেটওয়ার্কের অধীন ল্যাব ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোভিড টিকাকরণের প্রথম ডোজের পর যাতে নির্দিষ্ট ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে।
এছাড়াও বাইরের দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের জন্যও একাধিক নিয়মাবলি জারি করা হয়েছে। বিমানযাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর-এর নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। একই সাথে, https://www.newdelhiairport.in/airsuvidha/apho-registration – এই ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম জোগাড় করে গত ১৪ দিনে আপনি কোথায় ছিলেন, তা জানাতে হবে। আপনার দেওয়া তথ্য যে সঠিক, তার প্রমাণও দিতে হবে। বিমানযাত্রার সময় প্রত্যেকের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ (Aarogya Setu app) থাকা বাধ্যতামূলক। উপসর্গহীন ব্যক্তিরাই শুধুমাত্র বিমানযাত্রার অনুমতি পাবেন। উপরোক্ত রিপোর্ট জমা না দিলে বিমানযাত্রা করা যাবে না।
‘ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপসর্গ থাকলে তৎক্ষণাৎ আইসোলেশনে পাঠাতে হবে। এদেশের বিমানবন্দরে পৌঁছে কোভিড টেস্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে। নাহলে বিমানবন্দর ছাড়া কিংবা অন্য বিমানে ওঠার অনুমতি মিলবে না। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে এলে সাত দিন কোয়ারেন্টাইনেও থাকতে হবে। যাত্রীদের আইসোলেশনে রাখার জন্য আলাদা ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
এদিকে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ৪০ বছর কিংবা তার ঊর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রস্তাবও রেখেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।