জেলা

আবর্জনার স্তূপের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব

এনএফবি, জলপাইগুড়িঃ

পার্ক বা উদ্যানের কথা মাথায় এলেই প্রথমেই মনে পড়ে শৈশব কালের কথা। বিকেল হলেই কচিকাচাদের ভিড় থাকে যে কোনও পার্কে। এমনিতেই করোনার জন্য গত দু’বছর শিশুরা দীর্ঘদিন বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তার মধ্যে বেলাকোবার একমাত্র পার্কটিও গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে, পাশাপাশি হয়ে উঠেছে আবর্জনা ফেলার মূল জায়গা। সেখানে রোজ দেখা যাচ্ছে কেউ জামা কাপড় ধুয়ে শুকোচ্ছে, কেউ অবার পার্কের মধ্যে বসার জায়গায় গরুর গোবরের ঘুটে দিয়ে রেখেছে। এমনই চিত্র দেখা গেল জলপাইগুড়ি বেলাকোবার সেই পার্কে।

রাজগঞ্জ ব্লকে বেলাকোবা পার্কের দোলনা থেকে স্লিপার সমস্ত কিছুর বেহাল দশা। ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে সমস্ত খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম। জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হতে চলেছে। শিশুদের খেলার কোনও জায়গা নেই পার্কে। আগাছার জঙ্গলে ভরে গেছে পুরো পার্ক। শিশুদের খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙে নষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। ঘাসের স্তূপের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, দীর্ঘদিন এই পার্কের কোনও সংস্কার হয়নি। তবে এই পার্কের ঘটা করে উদ্বোধন করেছিল সেখানকার বিধায়ক। কিন্তু এখন তার বেহাল দশা।

সংস্কারের কোনও নামগন্ধ নেই। পার্কের মধ্যে দেখা যাচ্ছে পড়ে রয়েছে আবর্জনার স্তুপ।

বেলাকোবার এই পার্ক নিয়ে সেখাকার এক বাসিন্দা বলেন, এই পার্ক যেই দিন থেকে উদ্বোধন হয়েছে তারপর ক’দিন বেশ চলছিল তারপর থেকে তেমনভাবে সংস্কার না হওয়ায় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে এবং গরু, ছাগলের মূল চারণস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের কাছে আবেদন দ্রুত এই পার্ক সংস্কারের করলে ভালো হয়।

এ বিষয়ে সেখানকার বিধায়ক জানান, এই বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। জানতে পারলেন সাংবাদিকদের মাধ্যমে। সংস্কারের জন্য তারা অতি দ্রুত তাদের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং বাচ্চাদের শৈশব ফিরিয়ে দেবেন। জলপাইগুড়ির বেলাকোবায় এই একটিই মাত্র পার্ক রয়েছে। সেই পার্কও যদি সংস্কার না হয় তাহলে বাচ্চারা কোথায় খেলাধূলা করবে? সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বিধায়ক আশ্বাস দেন অতি দ্রুত পার্ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।